থামছে না ইন্টারন্যাল রক্তক্ষরণ! দিশাহীন চিকিৎসকরা, অত্যন্ত সঙ্কটজনক সৌমিত্র

মাঝে কয়েকটা দিন মিছুটা স্বস্তির খবর মিললেও ফের শুরু উদ্বেগ। বর্ষীয়ান অভিনেতা সঙ্কটজনক অবস্থায় থাকলেও প্রথম দুটি ডায়ালিসিসের পর চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিলেন। সামান্য উন্নতি গিয়েছিল শারীরিক অবস্থার। কিন্তু শেষ ২৪ ঘণ্টায় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা অবনতির দিকেই গেলো। আজ, রবিবার সন্ধের পর তা আরও খারাপ হল। যা অতি থেকে অতি সঙ্কটজনক।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, ৮৫ বছর বয়সী সৌমিত্রবাবুর যে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হচ্ছিল তা কোনওভাবেই থামানো সম্ভব হয়নি। সুতরাং, পরিস্থিতি খারাপ থেকে আরও খারাপের দিকেই যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ৪ ইউনিট রক্ত দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার একটা চেষ্টা চলছে। তবে তা কোনওভাবেই স্বস্তির খবর নয়।

সবচেয়ে বড় বিষয়, রক্তক্ষরণ ঠিক কোথা থেকে হচ্ছে তা অনুধাবনই করতে পারেননি চিকিৎসকরা। সিটি অ্যাঞ্জিওগ্রাফি করে তা জানার চেষ্টা চলছে। সবমিলিয়ে ক্রমশ জটিল হচ্ছে শারীরিক অবস্থা। কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে দিশেহারা তাবড় তাবড় চিকিৎসকরা।

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শরীরের বিভিন্ন প্যারামিটার ঠিক রাখাই এখন চিকিৎসকদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। সতর্কতা হিসেবে কার্ডিও থোরাসিক ভাস্কুলার সার্জনদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। ডাকা হয়েছে রেডিওলজি বিশেষজ্ঞদেরও।

রবিবার বিকেলে হাসপাতাল সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ফের ইন্টারন্যাল রক্তক্ষরণ হয়েছে সৌমিত্রবাবুর। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা নেমে গিয়েছিল। কমেছিল প্লেটলেটও। অবস্থা সামাল দিতে একাধিক ব্লাড ট্রান্সফিউশন করা হয়। শেষপর্যন্ত হিমোগ্লোবিন ও প্লেটলেট নিয়ন্ত্রণে আসতে থাকে।
উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত ২৫ দিন হাসপাতালে রয়েছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। রবিবার বিকেল পর্যন্ত গত ১১ দিনে চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছে না তাঁর মস্তিষ্ক। রবিবার ফের ডায়ালিসিস করানোর কথা ভেবেছিলেন চিকিৎসকরা। ইউরিনের মাত্রা ঠিকই ছিল। স্বাভাবিক না হলেও নিয়ন্ত্রণেই ছিল ইউরিয়া ও ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা ।

এখনও ভেন্টিলেশন সাপোর্টেই রয়েছে প্রবীণ অভিনেতা। ফুসফুসের অবস্থা আগের মতোই। সংক্রমণ যাতে আর না ছড়ায় সেই চেষ্টায় করছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু ফল মিলছে কই? আশার আলো ক্রমশ ক্ষীণ হচ্ছে।

আরও পড়ুন- রাজ্যে লোকাল ট্রেন চালানোর পক্ষে কংগ্রেস-বাম

Previous articleএবার বেসুরো বিধায়ক শীলভদ্র, অস্বস্তিতে তৃণমূল
Next articleরাজস্থানকে হারিয়ে প্লে-অফের দৌড়ে টিকে থাকল কলকাতা