রাজ্যে লোকাল ট্রেন চালানোর পক্ষে কংগ্রেস-বাম

রাজ্যে লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু করার আর্জি জানিয়ে রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে চিঠি লিখলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী। একইসঙ্গে এদিন সিটুর গণ কনভেনশনে বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী রাজ্যে লোকাল ট্রেন চালু করার দাবি জানিয়েছেন।

রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে লেখা চিঠিতে অধীররঞ্জন চৌধুরীর বক্তব্য, “কলকাতা মেট্রো পরিষেবা চালু করা হয়েছে। ওই একই পদ্ধতি মেনে লোকাল ট্রেন চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হোক। কারণ লোকাল ট্রেনের সঙ্গে বহু মানুষের রুটি-রুজির যোগ রয়েছে। লকডাউন এর প্রথম পর্ব থেকেই লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকায় সবথেকে বেশি সমস্যার মধ্যে পড়েছেন তাঁরা।” ওই চিঠিতে তিনি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন, “কেন শুধুমাত্র রেল কর্মীদের জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে?”

অন্যদিকে, লোকাল ট্রেন চালানোর দাবি জানাচ্ছে সিপিএম। রবিবার সিটুর ডাকে এক গণ কনভেনশনে বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ” অবিলম্বে লোকাল ট্রেন চালাতে হবে। জীবন জীবিকার স্বার্থে আর কোনও দেরি করা যাবে না।” তাঁর আরও দাবি, “স্টেশন সংলগ্ন দোকান চালু করতে দিতে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে হকারদের করতে দিতে হবে। লকডাউন পর্বে রেলের ঠিকা শ্রমিকদের বেতন দিতে হবে।”

প্রসঙ্গত,  করোনা মোকাবিলায় দীর্ঘ লকডাউন পর্বে বন্ধ রেল পরিষেবা। কেন্দ্রের নির্দেশে আনলক পর্ব শুরু হয়েছে। চালু হয়েছে স্পেশাল ট্রেন। কিন্তু এখনও লোকাল ট্রেন পরিষেবার কোনও খবর নেই। লোকাল ট্রেনের দাবি জানিয়ে গত মাস থেকেই দফায় দফায় বিভিন্ন স্টেশনে যাত্রী বিক্ষোভ হয়েছে। কোনও কোনও স্টেশনে স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে ওঠার জন্যও বিক্ষোভ দেখিয়েছেন সাধারণ মানুষ। শনিবার সন্ধেয় ফের এমনই এক ঘটনার সাক্ষী থাকল এরাজ্য। স্পেশাল ট্রেনে ওঠার দাবিতে যাত্রী বিক্ষোভে রণক্ষেত্র হয় হাওড়া স্টেশন।

শনিবারের এই ঘটনার পরই বৈঠকে বসতে চেয়ে রেলকে চিঠি দিয়েছে রাজ্য। আগামীকাল সোমবার নবান্নে ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব সহ পূর্ব রেলের এজিএম, সিওএম, সিসিএম, হাওড়া ও শিয়ালদহের ডিআরএম। থাকবেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আধিকারিকরাও।

আরও পড়ুন:লোকাল ট্রেন চালাতে কাল নবান্নয় রেল-রাজ্য বৈঠক

 

Previous articleআমার ক্লার্ক-ও ভালো করে সংবিধান বোঝেন, ফের রাজ্যপালকে একহাত নিলেন কল্যাণ
Next articleপ্লে-অফ থেকে পঞ্জাবকে ছিটকে দিল চেন্নাই