আমার ক্লার্ক-ও ভালো করে সংবিধান বোঝেন, ফের রাজ্যপালকে একহাত নিলেন কল্যাণ

‘আমার সঙ্গে আমার যে ক্লার্ক আছে সেও ভালো করে সংবিধানটা বোঝে। যতোটা রাজ্যপাল না বোঝে।’ ফের বিস্ফোরক শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, দার্জিলিংয়ে বিজেপির গুণ্ডাদের কাছে ঘুরে বেরাবে রাজ্যপাল। ইনি একটা রাজ্যের রাজ্যপাল? ছিঃ ছিঃ ছিঃ! বাংলায় যেমনভাবে কাজ করছেন দেখে মনে হচ্ছে বিজেপির চাকর।

রবিবার হুগলি জেলার বলাগড় বিধানসভার ডুমুরদহ নিত্যানন্দপুর ২ নম্বর অঞ্চলের শেরপুর মাঠে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিবাদ সভা আয়োজন করা হয়। তৃণমূল কংগ্রেস হুগলি জেলার একটি কোর কমিটি গঠন করেছিল। সেই কোর কমিটির শ্রীরামপুরে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, দশটি বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিবাদ সভা ও জনসভার আয়োজন করা হবে। সেইমতো আজ ১ নভেম্বর বলাগড় বিধানসভা থেকে প্রতিবাদ সভা শুরু হয়। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুই মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত, অসীমা পাত্র, বিধায়ক বেচারাম মান্না, অসীম মাঝি, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, হুগলি লোকসভা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী সুমনা সরকার সহ তৃণমূলের অন্যান্য নেতৃত্বরা।

এদিন ফের একবার শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় একহাত নিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে। তাঁর দার্জিলিংয়ে ঘুরতে যাওয়া প্রসঙ্গে বলেন, “দার্জিলিংয়ে বিজেপির গুণ্ডাদের কাছে ঘুরছে রাজ্যপাল। বিজেপির সমস্ত খুনিদের নিয়ে ঘুরে বেরাচ্ছে। ইনি একটা রাজ্যের রাজ্যপাল? ছিঃ ছিঃ ছিঃ! আমার সঙ্গে আমার যে ক্লার্ক আছে সেও ভালো করে সংবিধানটা বোঝে। যতোটা রাজ্যপাল না বোঝে।”

এরপর রাজ্যপালের টুইটের পালটা টুইট প্রসঙ্গে কল্যাণ বলেন, “রাজ্যপাল যতোবার টুইট করেন তাঁর পালটা টুইট আমিও করি। আমি প্রতিজ্ঞা নিয়েছি, যতোবার রাজ্যপাল স্টেটমেন্ট দেবেন, ততোবার আমিও স্টেটমেন্ট দেব। এই কারণে রাজ্যপাল আমার ওপর এখন বেশি ক্ষেপে গিয়েছে। ধনকড়ের পিছনে এখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাত আছে। রাজ্যপাল উঠে পড়ে লেগেছে যে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে কীভাবে আক্রান্ত করা যায় কীভাবে খুন করা যায় তার চক্রান্ত করতে দার্জিলিং গিয়েছেন।”

এরপরশ্রীরামপুরের সাংসদ আরও একধাপ এগিয়ে রাজ্যপালকে বিজেপির চাকর এবংএজেন্ট বলেন। জানান, “আপনি বাংলায় যেমনভাবে কাজ করছেন দেখে মনে হচ্ছে আপনি বিজেপির চাকর, এজেন্ট। আপনি ভারতবর্ষের লজ্জা। রাজ্যপালের পদ থেকে পদত্যাগ করে প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দেখান, তবেই বুঝব ‘কত ধানে কত চাল’। হিম্মত থাকলে ৩৫৬ ধারা করে দেখান। এমনিতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০০ টা সিটে জিতে আসছে। আর যদি ৩৫৬ ধারা জারি করা হয় তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২৬০ থেকে ২৭০ টা সিটে জিতে আসবে কথা দিলাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটকানোর কারোর ক্ষমতা নেই।”

পাশাপাশি এদিন সাংসদ রাজ্যপালের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। প্রশ্ন তোলেন উত্তরপ্রদেশের নারীদের নির্যাতন নিয়েও ।

আরও পড়ুন-ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে শুভেন্দুকে বিজেপিতে আসার প্রস্তাব সৌমিত্রর

Previous articleরেকর্ড ভাঙল আগাম ভোটের হার, চিন্তায় ট্রাম্প শিবির
Next articleরাজ্যে লোকাল ট্রেন চালানোর পক্ষে কংগ্রেস-বাম