Saturday, August 23, 2025

নেতাদের বক্তব্য কতখানি সঠিক, তা যাচাই করতেই রাজ্য সফরে শাহ

Date:

Share post:

বঙ্গ-বিজেপির নানারকম নেতারা দফায় দফায় দিল্লি উড়ে গিয়ে দলের হাই কম্যাণ্ডকে এতদিন ধরে বুঝিয়ে এসেছেন, বাংলায় বিজেপির ক্ষমতায় আসা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা ৷ দিল্লি একটু মদত দিলেই ‘সোনা ফলবে’ বাংলায়৷ লোকসভা নির্বাচনের ভোটপ্রাপ্তির হিসেব তুলে ধরে কেউ বুঝিয়ে এসেছেন ১২২টা আসনে গিয়েই আছি৷ আর খান ২৫-৩০ আসন হলেই কেল্লা ফতে৷ কেউ আবার নিজের দলের থেকে অন্য দল ভাঙ্গিয়ে আনতে দরজা কেন বড় করা দরকার, তা বুঝিয়েছেন অমিত শাহ-জেপি নাড্ডাকে৷

ওদিকে ভোট-রাজনীতিতে অভিজ্ঞ অমিত শাহের কাছে তাঁর মন্ত্রক সূত্রে খবর, অঙ্ক এতখানি সহজ-সরল নয়৷ বঙ্গ-নেতারা নিজেদের ইমেজ এবং পদ বাঁচাতে দিল্লিতে এসে বেঠিক বার্তা দিচ্ছেন ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে শাহ কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে সমীক্ষা করিয়েছিলেন৷ সেই সমীক্ষাতেই তিনি জানতে পারেন, বাংলা থেকে ২০ আসন আসতে পারে৷ শাহ বলেওছিলেন সেকথা৷ ফলপ্রকাশের পর দেখা যায়, বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছে ১৮ আসন৷

ঠিক সেভাবেই একদমই প্রাথমিকস্তরের এক সমীক্ষার ভিত্তিতে শাহের কাছে এক রিপোর্ট পৌঁছে গিয়েছে৷ তাতে সর্বাধিক ৭০-৭৫ আসন বিজেপি পেতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷ কিন্তু এর পরেও বঙ্গনেতারা দিল্লিকে বুঝিয়ে চলেছেন ক্ষমতায় আসা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা৷ জানা গিয়েছে, শাহকেও একথাই বলা হয়েছে৷ এর ফলে যারপরনাই বিরক্ত শাহ৷ তাই বিষয়টি নিজের হাতে নিয়েছেন৷ প্রথমে নাড্ডাকে পাঠিয়েছেন, তারপর রাজ্যপালকে তলব করে ক্লাস নিয়েছেন এবং ধনকড়কে উত্তরবঙ্গে পাঠিয়েছেন কার্যত বঙ্গ-বিজেপির “উত্তরবঙ্গের সভাপতি”-র দায়িত্ব দিয়ে৷ এর পর অসুস্থতা সত্ত্বেও নিজেই আসছেন রাজ্যে, দলের নেতাদের ‘ব্রিফিং’ কতখানি সঠিক, তা যাচাই করতে৷ রাজ্য নেতারাও এসব আঁচ করতে পেরেছেন৷

এর ফলে শাহের এই সফর নিয়ে রাজ্য বিজেপির নেতারা ঠিক ততটা উৎফুল্ল হতে পারছেন না৷ কারন, দু’দিনের রাজ্য সফরে একের পর এক জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন অমিত শাহ৷ সেই বৈঠকে যে ছবি স্পষ্ট হবে, তার সঙ্গে বঙ্গ-বিজেপির শীর্ষ নেতাদের বক্তব্যের ফারাক থাকবেই৷ ফলে, রাজ্য নেতারা শাহ-সফর ঘিরে কিছুটা ভীতও বটে৷

কারন, খুবই কড়া ধাঁচের মানুষ শাহ৷ দলের কাজে জোড়াতালি একদমই সহ্য করতে পারেন না৷ সেক্ষেত্রে আগামী ৫-৬ তারিখের ম্যারাথন বৈঠকের পর রাজ্য নেতাদের সম্পর্কে শাহের ধারনা কতখানি বদলে যায়, সেটাই এখন দেখার৷

আরও পড়ুন- থামছে না ইন্টারন্যাল রক্তক্ষরণ! দিশাহীন চিকিৎসকরা, অত্যন্ত সঙ্কটজনক সৌমিত্র

spot_img

Related articles

সঠিক পরিকল্পনাই ডায়মন্ডহারবারের সাফল্যের চাবিকাঠি, মনে করছেন আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

মাত্র তিন বছরের ক্লাব। কিন্তু কী অসাধারণ সাফল্য। কলকাতা লিগ, আইলিগ থ্রি থেকে আইলিগ টু জিতে এবার আইলিগের...

অসংগঠিত শ্রমিক-ক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছে বাংলা: সাহায্য পেলেন ৭২০ শ্রমিক

একের পর এক নতুন প্রকল্প, অসংগঠিত শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে লাগাতার আলোচনা, তাঁদের পরিবারের প্রতি নজর রাখার ব্যাপারে তৎপর...

প্রাপ্য চায় বাংলা, উপহার না: মোদিকে জবাব তৃণমূলের

বাংলার মানুষ উপহার চায় না, প্রাপ্য চায়। উপহার দিয়ে বাংলার মানুষকে অপমান করবেন না। বাংলায় বরাদ্দ নিয়ে শুক্রবার...

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ শাহ, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা মোদির: কটাক্ষ তৃণমূলের

অনুপ্রবেশ ইস্যুকে বার বার জাগিয়ে তুলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আদতে নিজেদের ভুল নিজেরাই চোখ আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।...