Shuvendu Update: শুভেন্দুর বিষয়ে মুকুলকে দূরে রাখার সিদ্ধান্ত দিল্লি বিজেপির

শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছাড়বেন কি না এনিয়ে যখন জল্পনা তুঙ্গে, তখন দিল্লির বিজেপি শীর্ষমহলের সিদ্ধান্ত, শুভেন্দুর এই প্রক্রিয়ার মধ্যে মুকুল রায় যেন না ঢোকেন। বিষয়টি সরাসরি অমিত শাহ, জে পি নাড্ডা দেখছেন। যা কথা বলার বা সিদ্ধান্ত নেওয়ার, তাঁরাই নেবেন।

বিজেপি সূত্রের খবর, শুভেন্দু কখনই চান না মুকুল বা এরকম কাউকে ধরে নিজের পদক্ষেপ নিতে। মুকুল যেখানে একাই বিজেপি যান এবং পরে কৈলাসকেন্দ্রিক লবি করে বহু কষ্টে পদ পেয়েছেন, শুভেন্দু গোড়া থেকেই তার বিপরীত পথে আছেন। তিনি নিজের বিরাট অনুগামীশিবির ও জনবল তুলে ধরছেন। যেটা মুকুলের নেই। মুকুল একা দলবদল করে বিজেপির লোকদেরই নিজের সভায় দেখাচ্ছেন। আর শুভেন্দু দলে থেকেই একক পরিচয়ে সভা করছেন।
তেলে জলে মিশ খাবে না।

বিজেপির কাছে আরও খবর, তৃণমূলে থাকাকালীন একসময়ে মুকুল নিজেই শুভেন্দুর বিরোধী বলে পরিচিত ছিলেন। শুভেন্দুকে যুব তৃণমূল সভাপতি থেকে সরিয়ে সৌমিত্র খানকে সেখানে বসান মুকুলই। ফলে শুভেন্দুর সঙ্গে মুকুলের সমীকরণ আদৌ মসৃণ নয়।

আরেকটি বিষয় হল যেখানে মোদি, অমিত শাহ থেকে শুরু করে শীর্ষবিজেপিই বাংলায় গুরুত্ব দিচ্ছেন, সবরকম কৌশল নিচ্ছেন, প্রাকৃতিক নিয়মে কিছু বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা বিজেপিতে যাচ্ছেন, সেখানে স্বাভাবিক নিয়মে কিছু হলেও কেউ কেউ “মুকুল ম্যাজিক” বলে চালিয়ে দিচ্ছেন। শুভেন্দুর ক্ষেত্রে এইসব পরিকল্পিত প্রচার ছাড়লে হিতে বিপরীত হবে। এসব ফাজলামি শুভেন্দু পছন্দ করবেন না। মঞ্চে বা বৈঠকে মুকুল, সৌমিত্রদের সঙ্গে তাঁর সহাবস্থান হতে পারে, কিন্তু সম্পর্ক মসৃণ নয়।

ফলে দিল্লির সিদ্ধান্ত, শুভেন্দু তৃণমূল ছাড়ুন বা নাই ছাড়ুন, এই প্রক্রিয়া থেকে মুকুল রায়কে দূরে রাখা হবে। যা যোগাযোগ রাখার, সেটা দিল্লির আসল নেতৃত্ব বুঝবেন।

আরও পড়ুন- আমার ক্লার্ক-ও ভালো করে সংবিধান বোঝেন, ফের রাজ্যপালকে একহাত নিলেন কল্যাণ

রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও এই কারণেই এর মধ্যে ঢুকছেন না। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন তাঁর সঙ্গে কারুর কোনো কথা হয়নি। তিনি এরমধ্যে নেই। সাংবাদিকরা জোরাজুরি করলে তিনি রুটিন গোলগোল বিবৃতিতে বলেছেন বিজেপির দরজা খোলা। কিন্তু দিলীপবাবু নিজেকে আসল বিষয়টি থেকে অন্তত এখনও পর্যন্ত সজ্ঞানে দূরে রেখেছেন।

এদিকে, শুভেন্দুর অনুগামীশিবির মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন শুভেন্দু মুকুল রায়ের থেকে জনবল, ক্যারিশ্মা এবং সাংগঠনিকভাবে অনেক বড় ও কার্যকর নেতা। সেখানে মুকুল সহ সভাপতি হলে তাঁর নিচের কোনো পদে শুভেন্দু রাজি হবেন কিনা বড় প্রশ্ন। শুভেন্দু মুখ্যমন্ত্রী বা উপমুখ্যমন্ত্রী প্রজেকশন এবং অনুগামীদের জন্য যথেষ্ট আসনের গ্যারান্টি না পেলে দলবদল করবেন কেন? বিজেপির কাছে গলার কাঁটা নারদ মামলার চার্জশিট। এতে শুভেন্দুর নাম থাকলে কোনো সেতুবন্ধনের প্রশ্ন নেই। আবার চার্জশিট আর কতদিন ঝুলিয়ে রাখা হবে?

ফলে বিষয়টি স্পর্শকাতর। শুভেন্দুর ঘটনাক্রমে সবরকম নজর দিল্লি রাখছে। মুকুল রায়দের এই পর্যায়ে এর মধ্যে চাইছে না দিল্লি।

আরও পড়ুন- এবার বেসুরো বিধায়ক শীলভদ্র, অস্বস্তিতে তৃণমূল

Previous articleবাংলাদেশে করোনারোগী প্রতি সরকারের ব্যয় হচ্ছে ১৫ থেকে ৪৭ হাজার টাকা
Next articleনেতাদের বক্তব্য কতখানি সঠিক, তা যাচাই করতেই রাজ্য সফরে শাহ