কেন্দ্রের সুপারিশ মেনে অসম, অন্ধ্রপ্রদেশ সহ ৩ রাজ্যে খুলল স্কুল

সাত মাসেরও বেশি সময় পর আজ, সোমবার থেকে অসম, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ডে খুলল স্কুল। আনলক ৫-এ রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার দেয়। কেন্দ্রের গাইডলাইন মেনে স্কুল খুলে গেল সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে।

অসম সরকার জানিয়েছে, ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত কাজ শুরু করা হয়েছে। ষষ্ঠ, সপ্তম, নবম, দ্বাদশ শ্রেণীর ক্লাস হবে সোম, বুধ এবং শুক্রবার। অন্যদিকে অষ্টম, দশম এবং একাদশ শ্রেণীর ক্লাস হবে মঙ্গল, বৃহস্পতি এবং শনিবার। প্রত্যেকটি ক্লাসে দুটি গ্রুপ ভাগ করে দেওয়া হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আয়রন, ফলিক অ্যাসিড ট্যাবলেট দিচ্ছে রাজ্য সরকার।

অন্ধ্রপ্রদেশে নবম এবং দশম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীরা আজ, সোমবার থেকে স্কুলে যাওয়া শুরু করেছে। ২৩ নভেম্বর ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে যাবে। অন্যদিকে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে যাবে ১৪ ডিসেম্বর থেকে। সরকার জানিয়েছে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সর্বোচ্চ ১৬ জন পড়ুয়া একসঙ্গে ক্লাস করতে পারবে। যারা স্কুলে আসবে না তাদের জন্য অনলাইন কাছে ব্যবস্থা থাকবে।

শুধুমাত্র দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির জন্য স্কুলের পঠন পাঠন চালু করেছে উত্তরাখণ্ড সরকার। প্রত্যেকটি স্কুলকে কেন্দ্রের গাইডলাইন কড়া ভাবে পালন করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রের নিয়ম অনুযায়ী, যেসব পড়ুয়ারা স্কুলে আসবে তাদের অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে অভিভাবকের অনুমতি পত্র। তবেই স্কুলে ক্লাস করার অনুমতি দেওয়া হবে সংশ্লিষ্ট পড়ুয়াকে।

প্রসঙ্গত, নির্দেশিকায় কেন্দ্র জানিয়েছিল-

১. স্কুলে ক্লাস করতে গেলে সংশ্লিষ্ট পড়ুয়াকে অবশ্যই অভিভাবকের অনুমতি পত্র আনতে হবে।

 

২. শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষার জন্য প্রত্যেক স্কুলের প্রধান গেটের থার্মাল গান রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। স্কুলে প্রবেশ এবং স্কুল চত্বরে থাকার সময় মুখে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।

 

৩. স্কুল খোলার আগে সব ক্লাসরুম, অফিস, গ্রন্থাগার, ল্যাবরেটরি-সহ সব জায়গা স্যানিটাইজ করতে হবে। কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রিন্টারও স্যানিটাইজ করতে হবে।হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

 

৪. কোনও স্কুল কনটেইনমেন্ট জোন এর মধ্যে হলে, তা খোলা রাখা যাবে না।

 

৫. শিক্ষক এবং ছাত্রের হাজিরার হার ৫০ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। পাশাপাশি অনলাইন পঠনপাঠন চালু থাকবে।

 

৬. স্কুলের ক্যান্টিন তা আপাতত বন্ধ রাখতে হবে। জমায়েত এড়াতে খেলাধুলো, দলবদ্ধ সংস্কৃতি চর্চার মতো বিষয় বন্ধ রাখতে হবে।

 

৭. দরজার নব ও হাতল, লিফ্টের বোতাম, সিঁড়ির রেলিং, বেঞ্চ, চেয়ার, টেবিল, ডেস্ক, শৌচাগারে জলের কল ইত্যাদি নিয়মিত হাইড্রোক্লোরাইট সলিউশন ব্যবহার করে জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে।

আরও পড়ুন:রাজস্থানে গুর্জর বিদ্রোহ, ১৪ দফা দাবিতে রেল অবরোধ ভরতপুরে

 

Previous articleট্যুইটে অমিতাভর তোপ রাজ্য সরকারকে
Next articleঅতিমারিতে চাকরি খুইয়ে অক্টোবরে বাংলাদেশ ফিরেছেন ৮০ হাজার প্রবাসীকর্মী