মাত্র ৩০ টাকার টিকিট কেটে কোটিপতি হওয়া জনমজুর হরি মাঝি হতবাক!

“ছেড়া কাঁথায় শুয়ে” লাখ টাকার স্বপ্ন দেখতেন ভাতারের বামশোর গ্রামের বাসিন্দা মূক ও বধির হতদরিদ্র হরি মাঝি।
কিন্তু সেটা যে এভাবে বাস্তব হয়ে যাবে তা কখনও স্বপ্নেও ভাবেন নি। তাই নিজের ভাগ্য পরীক্ষা করতে মাঝে মাঝেই লটারির টিকিট কাটতেন তিনি।
মাত্র ৩০ টাকার টিকিট কেটে এক কোটি টাকার প্রথম পুরস্কার জিতলেন পেশায় জনমজুর হরি।
সোমবার বিকেলে ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পরেই তাঁকে নিয়ে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন প্রতিবেশীরা। পূর্ব বর্ধমানের বামশোর গ্রামের ঢলদিঘির পাড়ে মাটির দেওয়াল খড়ের ছাউনি দেওয়া ঘর। সেখানেই সপরিবারে থাকেন হরি মাঝি। বাড়িতে রয়েছেন বিধবা মা, স্ত্রী পুতুলদেবী ও ছেলে সুজন(১৮)।এক মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। হরির স্ত্রী ও ছেলেও জনমজুরি করেন। নুন আনতে পানতা ফুরনো সংসার।পুতুলদেবী জানিয়েছেন, অভাবের মাঝেও তাঁর স্বামী মাঝে মাঝেই লটারির টিকিট কাটতেন।তবে সেভাবে কখনও কোনও পুরস্কার পাননি। তবু তিনি টিকিট কাটতে ছাড়তেন না।
তিনি বলেন, “আজ আমার স্বামীর কাছে বিশেষ টাকা পয়সা ছিল না। তাই সকালে বাজার যাওয়ার আগে ছেলের কাছে ৩০ টাকা চেয়ে নেন। এরপর বিকেলে শুনি আমার স্বামী যে টিকিট কেটেছিল তাতে এক কোটি টাকা পড়েছে।
কী বলছেন হরি মাঝির ছেলে সুজন ? তিনি বলেন, “আমাদের জন্য একটা পাকা ঘর তৈরি করার খুব ইচ্ছা ছিল বাবার। প্রায়ই ইশারায় সে কথা বলত।কিন্তু অর্থের অভাবে তা সম্ভব হয়নি। এবার বাবার সেই ইচ্ছা পূর্ণ হবে।”
আসলে প্রথমে পরিবারের কেউ বিশ্বাসই করতে পারেননি এটা স্বপ্ন নাকি বাস্তব। যখন বিস্ময়ের ঘোর কাটল তখন বুঝলেন তা সত্যি। হরি মাঝি আজ সত্যিই কোটিপতি।

Previous articleঐতিহাসিক আইএসএলের স্কোয়াড ঘোষণা করলো এটিকে-মোহনবাগান
Next articleবিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীর ঝটকায় কুপোকাৎ ডিএম-এসপি