দেশের ৬ বিমানবন্দর গেল মোদি ঘনিষ্ঠ আদানিদের হাতে

এবার দেশের ছটি গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর পরিচালনার দায়িত্ব বর্তাচ্ছে মোদি ঘনিষ্ঠ আদানি শিল্পগোষ্ঠীর হাতে। এই বিষয়ে সরকারি স্তরে চুক্তি হয়েছিল ছ’মাস আগেই। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতির কারণে হস্তান্তর পর্ব তিন মাস পিছিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই মেঙ্গালুরু ও লখনউ বিমানবন্দর পরিচালনার ভার আদানিদের হাতে তুলে দিয়েছে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া (এএআই)। আগামী ১১ নভেম্বর তুলে দেওয়া হবে আমেদাবাদ বিমানবন্দর।

পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের ভিত্তিতে মেঙ্গালুরু, লখনউ, আমেদাবাদ, জয়পুর, তিরুবনন্তপুরম ও গুয়াহাটি বিমানবন্দরকে ৫০ বছরের জন্য লিজের প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১৮ সালে। গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি বরাতের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয় এবং ছ’টি বিমানবন্দরেই বরাত পায় আদানি গোষ্ঠী। শিল্পমহলকে কার্যত চমকে দিয়ে ছ’টি বিমানবন্দরের জন্যই বিপুল অঙ্কের দরপত্র দিয়েছিল আদানিরা। সরকারের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন হয় এই বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি। তারপর ছ’মাস সময় নির্দিষ্ট ছিল চূড়ান্ত হস্তান্তরের জন্য। কিন্তু কোভিডের জন্য তিন মাস অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয় আদানি গ্রুপকে। মেঙ্গালুরুর পর হস্তান্তর হয়েছে লখনউ বিমানবন্দর। আমেদাবাদের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে ১১ নভেম্বর।

আরও পড়ুন:ফের চিনা দ্রব্য বয়কটের ডাক, মধ্যপ্রদেশে বিদেশি বাজি নিষিদ্ধ সরকারের

ব্যাঙ্ক, বিমা, বিমান পরিবহণের মতো সরকারি ক্ষেত্রকে বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে বারবার সরব বিরোধীরা। আবার মোদি সরকারের সঙ্গে আদানি-অাম্বানিদের বিশেষ ‘সখ্য’ নিয়েও বহু বিতর্ক। বিমানবন্দর লিজ দেওয়ার জন্য টেন্ডার ঘোষণার পরে সেই আক্রমণ আরও বাড়ে। দরপত্রে অংশ নেওয়ার পর থেকেই বিরোধী দলগুলি অভিযোগ তুলছিল, আদানি গ্রুপের হাতে দেওয়ার জন্যই বিমানবন্দরের বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার। সেইসব বিতর্ক অগ্রাহ্য করেই শেষ পর্যন্ত ভারতীয় বিমান পরিবহণ পরিষেবার ক্ষেত্রে যাত্রা শুরু করল গুজরাটের গৌতম আদানির সংস্থা।

Previous articleআয় তলানিতে, সরকারি সাহায্য চান মালদহের শোলাশিল্পীরা
Next articleকোভিড ছড়াতে বাংলায় মিছিল হচ্ছে, লক্ষ্মণরেখা অতিক্রম নয়: নাম না করে তোপ মমতার