বিহারের থেকে বড় ‘টার্গেট’ বাংলা, স্পষ্ট স্বীকারোক্তি অমিত শাহর

বিহারের থেকে বড় টার্গেট বাংলা। দখল করব বাংলার শাসন ক্ষমতা। ‘উখাড় কে ফেক দেঙ্গে।’ খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসে বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাহলে ৩৫৬? এবার দলের নেতা-কর্মীদের ভোকাল টনিক দেওয়ার ঢঙে বললেন, যেখানে আমরাই জিতব, সেখানে রাষ্ট্রপতি শাসন কেন করতে যাব? অর্থাৎ ৩৫৬-র জুজু যে আসলে কেন্দ্র বা বিজেপির রাজনৈতিক জুজু, তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথাতেই পরিষ্কার।

দলীয় সভায় দলের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি ছিলেন অনেকটাই ডিফেন্সিভ। মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যক্তিগত আক্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা থেকে শুরু করে মানুষের আস্থা অর্জনের কথা বলেছেন। আর দিল্লি উড়ে যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একেবারে সরাসরি ক্ষমতা দখলের কথা। সেইসঙ্গে রাজ্য সরকারকারের বিরুদ্ধে একের পর এক প্রশ্ন… ন্যাশনাল ক্রাইম ব্যুরোর রেকর্ড যাচ্ছে না কেন? রাজ্যে অপরাধ, মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ, রাজনৈতিক খুন বাড়ছে কেন? প্রশাসনের রাজনীতিকরণ হচ্ছে কেন? অভিযোগ তোলার পাশাপাশি রাজ্যের ক্ষমতায় আসার প্রশ্নে তিনি কতখানি নিশ্চিত তার প্রমাণ দিতে গিয়ে কৃষকদের উদ্দেশে বলেন, চিন্তা করবেন না। মে মাসে আপনাদের টাকা ব্যাঙ্কে ঢুকে যাবে। কারণ তখন রাজ্যে বিজেপি সরকার আসবে।

বিহারের ভোটে প্রচারে যাননি, অথচ বাংলায় কেন টানা ৪৮ ঘন্টা থাকলেন? দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কোভিডজনিত অসুস্থতার কারণ সামনে রেখেও ৪৮ ঘন্টার সফরের সারবস্তু কিন্তু জানিয়ে গেলেন। বললেন, হ্যাঁ, বাংলা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য। এখানে আমরা জিততে চাই। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায় পরিষ্কার বাংলার মাটিতে জোড়া ফুলের প্রভাব এতখানি যে সেই বাধা ডিঙোতে কখনও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কখনও বিজেপি সভাপতি জয়প্রকাশ নাড্ডা আবার কখনও দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে পশ্চিমবঙ্গে আসতে হচ্ছে।

আরও পড়ুন- ডাকঘরের কর্মীকে বেদম মার, কাঠগড়ায় সিপিএম নেতা

Previous articleডাকঘরের কর্মীকে বেদম মার, কাঠগড়ায় সিপিএম নেতা
Next articleহেলিকপ্টারে উড়ে এসে জুড়ে বসে দক্ষিণেশ্বরে গিয়েও রাজনীতি করছেন, অমিতকে কটাক্ষ ফিরহাদের