রাজনীতির সম্ভাবনার শিল্প। রাজনীতির অভিধানে “চিরশত্রু” বলে কোনও শব্দ হয় না। রাজনীতিতে একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বি হয়। সংসদীয় গণতন্ত্রে রাজনীতির গতিপথ কোনওদিন সরলরেখায় যায় না। তা পরিবেশ পরিস্থিতি অনুযায়ী দিক পরিবর্তন করে। আসলে রাজনীতি মানেই দেশের কাজ, দেশের মানুষের জন্য কাজ, সমাজের জন্য পরিষেবা। তাই মতাদর্শ ভিন্ন হলেও সারমর্মটা একই।
আর সেই জায়গা থেকেই যেন এমন প্রশ্ন! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি আপনার ছেলে জয় শাহের কাছে আপনার নামে নালিশ করেছিলেন? কী সেই নালিশ? কেন সেই নালিশ? দু’দিনের বঙ্গ সফরে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয় এমন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছিল দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে!
কী উত্তর দিলেন সর্বভারতীয় বিজেপির “সেকেন্ড ম্যান”?
মাস্ক ছাড়াই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছেন অমিত শাহ। সে কথাই নাকি কিছুদিন আগে অমিতের ছেলে জয় শাহকে ফোন করে বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাবাকে যাতে সতর্ক করে দেন, সেই অনুরোধও জয়কে করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। আপনার স্বাস্থ্যের নাকি চিন্তা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? আপনার প্রতি তিনি এত আন্তরিক, আর আপনি তাঁরই বিরোধিতা করছেন?
উত্তরে অমিত শাহ কিছুটা রসিকতা বলেন,”বাবা রাজ্যে আসায় উনি চিন্তিত, নাকি মাস্ক না পরায়?”
তবে এরপরই অমিত শাহ জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত কোনও শত্রুতা নেই। বরং, সম্পর্ক বেশ ভালো। ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে ওনার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। তবে প্রশাসনিকভাব তাঁর ব্যর্থতা নিয়ে বলাই যায়। গণতন্ত্রে এটা সকলের অধিকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে এমন মন্তব্য কিন্তু যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ!
আরও পড়ুন- সৌরভ না শুভেন্দু, বিজেপির একুশে মুখ কে? জানিয়ে দিলেন অমিত শাহ