বিশ্ব যেমন ফাইজারের করোনভাইরাস ভ্যাকসিনকে ইতিবাচক ফলাফল দেখাচ্ছে তেমনই ভারতের বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ভারতে এটি নিয়ে তেমন আশা নেই। এইমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া বলছেন, ফাইজার করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনটি -৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখা দরকার। এবং ভারতে এ জাতীয় সরবরাহ ব্যবস্থা কঠিন হতে পারে।


দিল্লির এইমস-এর ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া জানাচ্ছেন, “ফাইজার ভ্যাকসিনটি -৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রাখতে হয়। যা ভারতের দেশের পক্ষে সম্ভব নয়। ভারতে কোল্ড চেন বজায় রাখা অসম্ভব। বিশেষ করে গ্রামীণ মিশনগুলিতে কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।”

আমেরিকার ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা ফাইজার ও জার্মান কোম্পানি বায়োএনটেকের যৌথ প্রয়াসে তৈরি করোনভাইরাস ভ্যাকসিনটি তৃতীয় দফার ট্রায়ালে সংক্রমণ প্রতিরোধে ৯০ শতাংশের বেশি কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে আগেই। সম্প্রতি ৪০ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে প্রয়োগ করা করোনার টিকার আংশিক ফল প্রকাশিত হয়েছে। যে ৯৪ জনের শরীরে এই টিকার ফল প্রকাশ করা হয়েছে, তা সন্তোষজনক। তবে বয়ষ্ক ও আক্রান্ত মানুষদের শরীরে এটি কীভাবে কাজ করবে, তা জানা যাবে যখন ফাইজার আলাদা করে দু’মাসের সেফ্টি ‘ফলো-আপ ডেটা’ প্রকাশ করবে। নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত এর জন্য সময় লাগতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আমেরিকাতে এর পর ড্রাগ কন্ট্রোল ব্যুরোর অনুমোদন পাবে টিকা।


এক সাক্ষাৎকারে বিজ্ঞানী ডাঃ গগনদীপ কং বলেছিলেন, ফাইজারের করোনভাইরাস ভ্যাকসিন একটি এমআরএনএ ভ্যাকসিন। এটি ভারতের পক্ষে খুব ব্যয়বহুল প্রমাণিত হতে পারে। যদিও ফাইজার তার করোনভাইরাস ভ্যাকসিনের জন্য কী খরচ করবে তা স্থির করেনি। গগনদীপ কং বলেন, “ভারতের পক্ষে আরএনএ ভ্যাকসিনগুলি খুব ব্যয়বহুল হতে চলেছে।”

ফাইজারের করোনভাইরাস ভ্যাকসিনের সুপার-কোল্ড স্টোরেজ প্রয়োজনীয়তা বেশিরভাগ হাসপাতালে নেই। এমনকী বড় শহরগুলিতেও পাওয়া যায় না। ফাইজার এবং এর জার্মান অংশীদার বায়োএনটেক দ্বারা নির্মিত কোভিড -১৯ টি ভ্যাকসিন বিশ্বজুড়ে দেরিতে পরীক্ষা শুরু হওয়ার জন্য সম্ভাব্য ১০ টি ভ্যাকসিনের মধ্যে রয়েছে, তার মধ্যে চারটি এখনও পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পরীক্ষারত।

আন্তর্জাতিক স্তরে আরও বেশ কয়েকটি করোনা টিকার এখন চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষা চলছে। জাইডাস ক্যাডিলা তৈরি করছে করোনার ভ্যাকসিন। এটি দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে রয়েছে। ব্রিটিশ ফার্মা সংস্থা ‘অ্যাস্ট্রাজেনেকা’র সঙ্গে যৌথভাবে ভ্যাকসিন তৈরি করছে ভারতের ‘সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া।

আরও পড়ুন-অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও OTT প্ল্যাটফর্মের কন্টেন্টে সরকারি নজরদারির নির্দেশিকা জারি




