ইতিহাসে প্রথমবার আর্থিক মন্দার কোপে ভারত! চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট রিজার্ভ ব্যাঙ্কের

করোনা মহামারি ও লকডাউন পূর্ববর্তী সময় থেকেই মুখ থুবড়ে পড়েছিল দেশের অর্থনীতি। আর লকডাউন পরবর্তী সময়ে দেশের অর্থনীতির মেরুদন্ড সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়ল।

অর্থনীতিবিদদের ধারণা, আনলক শুরু হলেও চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকেও সম্ভবত দেশের আর্থিক হাল ফেরা সম্ভব নয়। লকডাউনের জেরে এপ্রিল থেকে জুন এই ত্রৈমাসিকে প্রায় ২৪ শতাংশ সঙ্কুচিত হয়েছিল দেশের জিডিপি। উন্নত তথ্য দিয়ে তৈরি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের প্রথম ‘নাওকাস্ট’-এ বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বরে আর্থিক বৃদ্ধি সংকুচিত হতে পারে ৮.৬ শতাংশ।

 

ফলে অর্থনীতি যে তিমিরে ছিল, সেই তিমিরেই থাকবে। সেই আশংকাই যেন প্রকাশ করে ফেললো রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। আরবিআই-র আর্থিক নীতির দায়িত্বে থাকা ডেপুটি গভর্নর মাইকেল পাত্রের রিপোর্টে বলা হয়েছে, অর্থনীতির বেহাল দশা দেশকে নজিরবিহীন মন্দার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

আরবিআই পরিষ্কার জানাচ্ছে, “দেশের ইতিহাসে প্রথমবার ২০২০-২১ অর্থবর্ষের প্রথম অর্ধে মন্দার কবলে পড়েছে ভারত। আগামী ২৭ নভেম্বর আনুষ্ঠানিক পরিসংখ্যান রিপোর্ট প্রকাশ করবে কেন্দ্রীয় সরকার।

অর্থনীতি বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশের দাবি, লকডাউন পরবর্তী সময়ে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অর্থনীতিকে দাঁড় করানোর জন্য মূলত রিজার্ভ ব্যাঙ্কের উপরই নির্ভর করতে হচ্ছে কেন্দ্রকে। অর্থমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী সেই অর্থে বিশেষ কোনও কার্যকরী নীতিই গ্রহণ করতে পারেননি। কেন্দ্র যে তথাকথিত প্যাকেজের কথা বলছে, সেটি মুলত ঋণ সর্বস্ব। যার সুবিধা সরাসরি সাধারণ মানুষ পাচ্ছে না। আর সাধারণ মানুষ সরাসরি সুবিধা না পেলে আর অর্থনীতির দৈন্যদশা ঘুচবে না।

যদিও উৎসবের মরসুমে অর্থনীতির চাকা আশার আলো দেখা যাচ্ছে। বিক্রিবাটা কমলেও ব্যয় সংকোচনের পথে হাঁটায় বিভিন্ন সংস্থার অপারেটিং লাভ বেড়েছে। ব্যাঙ্কের নগদের পরিমাণ, গাড়ি বিক্রির পরিসংখ্যান অক্টোবর মাসে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিচ্ছে। গত মাসে আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের প্রস্তাবিত সময়ের আগেই অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে।

আরও পড়ুন:একটানা ৪০ দিন অপরিবর্তিত পেট্রোল ও ডিজেলের দাম

Previous articleমুসলিমরা ভোট মেশিন? প্রশ্ন ‘ভোট কাটুয়া’ ওয়েইসির
Next articleজেলাশাসকদের পরে বদল ১৮৯ জন ডব্লিউবিসিএস অফিসার, রুটিন বদলি বলল নবান্ন