তেজস্বীকে ফোন করে পাশে থাকার বার্তা মমতার

একটুর জন্য মেলেনি বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল। তবে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে একক বৃহত্তম দলের মর্যাদা পেয়েছে জেলবন্দি লালুপ্রসাদ যাদবের দল আরজেডি। আর আরজেডি নেতৃত্বাধীন মহাজোটের মহাসেনাপতি ছিলেন লালু-পুত্র তেজস্বী যাদব। একটুর জন্য পাটুলিপুত্রের মসনদে বসা হয়নি তেজস্বীর। তবে তীরে এসে তরী ডুবল লালু পুত্র লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়েছে গোটা ভারতের রাজনৈতিক মহল। এমনকি বিজেপি নেত্রী উমা ভারতী পর্যন্ত সার্টিফিকেট দিয়েছেন তেজস্বীকে।

এবার এই তরুণ তুর্কিকে অভিনন্দন জানিয়ে তাঁকে ফোন করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, বৃহস্পতিবার তেজস্বীর সঙ্গে ফোনালাপে মমতা তাঁকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি ধর্মনিরপেক্ষতার লড়াইতে পাশে থাকার বার্তাও দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

উল্লেখ্য ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে কলকাতার ব্রিগেড গ্রাউন্ডে ও বিজেপি দলগুলোকে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে মহাসমাবেশ ডেকেছিলেন সেখানেও আরজেডি’র পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তেজস্বী যাদব। এবং বক্তৃতা রাখতে উঠে তেজস্বী তাঁর ক্ষুরধার ভাষণে সকলের মন জয় করেছিলেন। সেই মঞ্চ থেকেই নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপির বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপসহীন লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়েছিলেন তেজস্বী। একইসঙ্গে তেজস্বী বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথে হেঁটেই বিহারে তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করবেন। শেষ পর্যন্ত পাটুলিপুত্র-এর মসনদে বসতে না না পারলেও, তেজস্বী বুঝিয়ে দিয়েছেন ভারতবর্ষের আগামীর রাজনীতিতে তিনি নক্ষত্র হয়ে উঠতে চলেছেন।

আরও পড়ুন- কালচিনিতে দিলীপের নতুন স্লোগান, যত মারবে, তত বাড়বে

Previous articleকালচিনিতে দিলীপের নতুন স্লোগান, যত মারবে, তত বাড়বে
Next articleমুখ্যমন্ত্রীর আবেদন মেনে ৯৫% ট্রেন চালাবে রেল