মুসলিমরা ভোট মেশিন? প্রশ্ন ‘ভোট কাটুয়া’ ওয়েইসির

বিহারে বিধানসভা নির্বাচনে ৫টি আসন জিতে এবার বাংলার দিকে নজর মিমের। ইতিমধ্যেই মিমের নেতা আসাদুদ্দিন ওয়েইসি রাজ্যের দুই জেলায় প্রার্থী দেবে বলে ঘোষণা করেছেন। কিন্তু তাঁদের সরাসরি ‘ভোট–কাটুয়া’ বলতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহল। কংগ্রেস প্রকাশ্যেই মিমকে বিজেপির বি–টিম বলে কটাক্ষ করেছে। যদিও এইসব অভিযোগে বিশেষ পাত্তা না দিয়ে মিম নেতা ওয়েইসির অভিযোগ, বিহারের নির্বাচনী প্রচারে সিএএ এবং এনআরসি প্রসঙ্গে একটাও কথা বলেনি আরজেডি বা কংগ্রেস। তাহলে মুসলিমরা কি শুধুই ভোট–মেশিন?

বিহারের সীমাঞ্চল এলাকায় ২৪টির মধ্যে পাঁচটি আসন জিতেছে মিম। ওয়েইসির মতে, গণতন্ত্রে বহুত্ববাদ থাকলে সে কোনও রাজনৈতিক দলই নির্বাচনে প্রার্থী দিতে পারে এবং জিততে পারে। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিম নেতা বলেন, “কেন আমাকেই জবাবদিহি করতে হবে?” মাত্র ২১টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল মিম। যারা ৭০টা, ১৪০টা আসনে প্রার্থী দিয়েও জিততে পারেনি, তারা জবাব দিক বলে মন্তব্য করেন ওয়েইসি।

যে ২১টি আসনে মিম প্রার্থী দিয়েছে, সেই আসনগুলিতে ভোট হয়েছে তৃতীয় দফায়। আর ওই দফায় সবচেয়ে ভাল ফল করেছে বিজেপি। যে কারণে মিমের দিকে সন্দেহের তির রাজনৈতিক মহলের। কেউ কেউ বিজেপির সঙ্গে গোপন আঁতাঁতের অভিযোগও তুলছেন। তবে, সাক্ষাৎকারে মিম নেতা জানান, কেরালা বা অসমের নির্বাচন না লড়লেও বাংলা ও উত্তরপ্রদেশে অবশ্যই লড়বে তাঁর দল।

আরও পড়ুন:হেরে গিয়েছেন কমল নাথ, পরাজিত হয়েও খুশি বিজেপি নেত্রী