কোচবিহারের ব্যক্তিকেন্দ্রিক জনসংযোগে তৃণমূল নেতা

কিশোর সাহা

সাতসকালেই সদলবলে বেরিয়ে পড়ছেন কোচবিহারের তৃণমূল যুব নেতা অভিজিৎ দে ভৌমিক। প্রবীণদের বাড়ির সামনে বসে থাকতে দেখলে হাঁটু মুড়ে বসে পড়ছেন। দিদির দূত হিসেবে নিজের পরিচয় দিয়ে আগামী বিধানসভা ভোটে আবার তৃণমূলের পাশে দাঁড়ানো অনুরোধ করছেন। বিদায়ের সময়ে জয় রাধে বলতেও শোনা যাচ্ছে তাঁকে।

শনিবার সকালে তুফানগঞ্জ শহরে এমনই ছবি দেখা গিয়েছে। একা অভিজিৎ দে ভৌমিক নন, তাঁর সঙ্গে তুফানগঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান অনন্ত রায়, যুব নেতা শিবু পাল, তনু সেনের মতো তৃণমূল নেতাও ছিলেন। চলার পথে যতজনের সঙ্গে দেখা হয়েছে কথা বলার চেষ্টা করেছেন তিনি।
এভাবেই চলার পথে একটি বাড়ির বাইরের দেওয়াল জুড়ে বাহারি গাছ ছেয়ে থাকা দেখে দাঁড়িয়ে প্রশংসা করেছেন। ওই গাছ কোথায় পাওয়া যায়, কীভাবে পরিচর্যা হয় তার খোঁজখবর নিয়েছেন। প্রশংসায় অভিভূত হয়ে বাড়ির মালিক তাঁকে গাছের চারা উপহার দিতে চেয়েছেন।

মাস কয়েক আগে জেলার যুব সভাপতি পদের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে প্রাতর্ভ্রমণে জনসংযোগ করছেন অভিজিৎ। এর আগে কোচবিহার শহরের নানা এলাকায় ঘুরে জনসংযোগ করেছেন। এবার গোটা জেলার গ্রাম-শহরে প্রথম দফায় অন্তত একদিন করে নিজে ঘোরার পরিকল্পনা নিয়েছেন তিনি। তিনি জেলার মহকুমা ও ব্লক সদর তো বটেই, গ্রামে-গ্রামেও যাবেন বলে জানান তিনি। তার পরে সে সব জায়গায় নিয়মিত দলের স্থানীয় যুব নেতারা সকালে জনসংযোগ করবেন।

গত লোকসভা ভোটে কোচবিহারে তৃণমূলকে হারিয়ে দিয়েছে বিজেপি। সেই ভোটের ব্যবধানের হিসেবে কোচবিহারের ৯টি বিধানসভার বেশির ভাগে আসনেই তৃণমূল বিজেপির চেয়ে পিছিয়ে। তার পরে কোচবিহারের জেলার সভাপতি পদ থেকে রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে সরিয়ে যুব নেতা পার্থপ্রতিম রায়কে বসানো হয়েছে। কিছুদিনের মাথায় অভিজিৎকে জেলা যুব সভাপতি করেছে তাঁর দল। আগামী বিধানসভা ভোটের আগে জেলার নানা এলাকায় ঘুরে দিদির দূত হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলতে আসরে নেমেছেন এই নেতা।

অবশ্য এ নিয়ে বিজেপি নেতাদের কটাক্ষ, সাতসকালে মিডিয়ার লোকজন নিয়ে ঘটা করে প্রাতঃভ্রমণ করে দলের কাছে নম্বর বাড়াতে পারলেও ভোটের অঙ্ক বৃদ্ধি করতে পারবেন বলে মনে হয় না।

আরও পড়ুন-সীমান্তে পরীক্ষা চাইলে উপযুক্ত জবাব পাবে, সেনাদের সঙ্গে দেওয়ালি কাটিয়ে হঁশিয়ারি মোদির