লক্ষ্য একুশ: এখন থেকে মাসে ২দিন রাজ্যে থাকবেন অমিত শাহ, ৩দিন নাড্ডা

বাংলায় একুশের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেছে বিজেপি। সেই লক্ষ্যেই ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। এবার আরও বড় খবর। বঙ্গ বিজেপির দাবি, বাংলা দখলের লড়াইয়ে এখন থেকে মাঠে নামছে খোদ অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এবং বিজেপির এই দুই শীর্ষনেতা এখন থেকে ভোট পর্যন্ত প্রতি মাসে রাজ্যে থাকবেন। বিজেপি সূত্রে খবর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ২দিন করে এবং জেপি নাড্ডা ৩দিন করে মাসে রাজ্যে থাকবেন। নিজে হাতে তাঁরা সংগঠন দেখভাল করবেন। যা কিন্তু রাজনৈতিকভাবে খুব তাৎপর্যপূর্ণ।

এদিকে গতকাল রাজ্যকে ৫টি সাংগঠনিক জোনে ভাগ করে কেন্দ্রের পাঁচ নেতাকে সেই জোনগুলির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই শুরু কাজ। বঙ্গ দখলের লড়াইয়ে বিজেপির “পঞ্চপাণ্ডব” আজ, বুধবার থেকেই নিজেদের দায়িত্বে থাকা জেলায় জেলায় পৌঁছে গিয়েছেন। লক্ষ্য একটাই। সময় নষ্ট না করে ঘর গোছানো। ফাঁক ফোকর থাকলে দ্রুত ড্যামেজ কন্ট্রোল করা।

শিলিগুড়িতে বৈঠকে বিজেপির কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি সেল-এর প্রধান অমিত মালব্য। দুর্গাপুরে কর্মীদের নিয়ে আলোচনায় বসছেন বিনোদ সোনকার। উলুবেড়িয়ার বীরশিবপুরে মেদিনীপুর নিয়ে বৈঠকে সুনীল দেওধর এবং জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। রাণাঘাটে দলীয় কর্মীদের নিয়ে বৈঠকে বিনোদ তাওড়ে।

বাকি পর্যবেক্ষকরাও একই ভাবে কলকাতায় পোর্ট ট্রাস্ট গেস্ট হাউজেও জরুরি বৈঠকে দুস্যন্ত গৌতম। দায়িত্ব পাওয়া নেতারা সকাল থেকে একে একে ঢুকতে শুরু করেন কলকাতায়।

এদিন বিমানবন্দরেই আগত নেতাদের ঘিরে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে প্রবল উৎসাহ দেখা যায়। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, প্রথম দফায় মূলত নিজেদের দুর্বলতা ঢাকার জন্য ঝাঁপাবেন কেন্দ্রীয় নেতারা। অঞ্চল ভিত্তিকভাবে পুরোনো নেতাদের সম্মান দিয়ে এই কাজ চলবে। সেইসঙ্গে অন্য দল থেকে আসা নেতা-কর্মীদেরও দলে টেনে সংগঠন মজবুত করা হবে। এছাড়া গোষ্ঠী সংঘাত মেটানো, নতুন-পুরনো দ্বন্দ্ব সরিয়ে ঐক্যবদ্ধ বিজেপির ছবি তুলে ধরা হবে।

আরও পড়ুন-পরের পর ‘বিশৃঙ্খল’- বার্তা, কর্মীদের দাবি, সক্রিয় হোক তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি

Previous articleপরের পর ‘বিশৃঙ্খল’- বার্তা, কর্মীদের দাবি, সক্রিয় হোক তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি
Next articleকবি ভারভারা রাওকে নানাবতী হাসপাতালে চিকিৎসার অনুমতি দিল বম্বে হাইকোর্ট