পরের পর ‘বিশৃঙ্খল’- বার্তা, কর্মীদের দাবি, সক্রিয় হোক তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি

হেভিওয়েট মন্ত্রী-বিধায়ক থেকে তেমন নাম না জানা বিধায়ক, তৃণমূলে হঠাৎই বৃদ্ধি পেয়েছে তথাকথিত ‘বিদ্রোহী’-দের সংখ্যা৷

একুশের ভোট যত এগিয়ে আসছে, তৃণমূলের কিছু নেতার কথাবার্তা, বডি-ল্যাঙ্গুয়েজ ততই বলগাহীন হয়ে পড়ছে৷ দলের সিদ্ধান্তে প্রকাশ্যেই অসন্তোষ, দলের নেতৃত্বকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ, সহ-নেতার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিষোদ্গার-জাতীয় ‘বিপ্লব’ বেড়েই চলেছে৷ তৃণমূল এবার কঠিন নির্বাচনের সামনে দাঁড়িয়ে৷ কেন্দ্রের শাসক দল সর্বশক্তি দিয়ে নেমেছে ‘বাংলা-দখল’ অভিযানে৷ বঙ্গ-বিজেপির ‘কাছাখোলা’ পরিস্থিতি এবং গোষ্ঠীকোন্দলে কিছুটা হলেও লাগাম লেগেছে৷ একাধিক শীর্ষ নেতার মনে যত বিষ-ই থাক, বঙ্গ-বিজেপি সুখী-পরিবারের একটি ‘এডিটেড’ ছবি তুলে ধরতে সচেষ্ট৷

ঠিক সেই পরিস্থিতিতে যে কোনও কারনেই হোক, তৃণমূলের অভ্যন্তরে একটা অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হচ্ছে কিছু নেতা-বিধায়কের কথাবার্তায়৷ অন্দরে বা ঘনিষ্ঠমহলে হয়তো আরও বেশিমাত্রায় সরব তাঁরা, কিন্তু প্রকাশ্যে বা সাংবাদিকদের সামনে যা বলছেন, সেটুকুই দলের কর্মীদের মনোবল দুর্বল করছে, হতাশাও তৈরি হচ্ছে৷ সন্দেহ নেই, কিছুটা হলেও বাইরের চাপে থাকা তৃণমূলকে এর ফলে ভেতরের চাপও নিতে হচ্ছে৷

দলের পুরোনো কর্মীরা, যারা মূলত ভোট-টা করেন, তাঁরাই এবার সরব হয়েছেন৷ এই আদি- কর্মীদের বক্তব্য, একশ্রেণির নেতার এ ধরনের আচরণ নিশ্চিতভাবেই দলের শৃঙ্খলা ভাঙ্গছে৷ ভোটের মুখে, এখনই এসব থামানো না গেলে, এ ধরনের শৃঙ্খলাবিরোধী কাজকর্মের খেসারত দিতে হবে দলকে৷ তাঁদের প্রশ্ন, দলে তো একটি শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি আছে, যে কমিটি গঠন করা হয়েছে শুধুমাত্রই তৃণমূল কংগ্রেসের অভ্যন্তরে শৃঙ্খলা বজায় থাকছে কি’না তা দেখার জন্য৷ কিন্তু সেকাজ হচ্ছে কোথায় ? রহস্য কী? সেই কমিটি তো কার্যত নিখোঁজ৷ দলের অন্যতম শীর্ষনেতা তথা দলের মহাসচিব তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির প্রধান৷
দলের বিশ্বস্ত কর্মীরা বলছেন, একুশের ভোটের মুখে দলের যে সব পদাধিকারী বা বিধায়ক দলের মর্যাদাহানি করছেন এবং করেই চলেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে ওই
শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি এতখানি ইতস্তত কেন বোধ করছেন ? ওই কমিটি কি বুঝতে পারছে না এভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির প্রবনতা যে কোনও মুহুর্তে দলের আপদমস্তক ছড়িয়ে পড়তে পারে ?

তখন তো তাগা লাগানোর জায়গাও পাওয়া যাবেনা৷

আরও পড়ুন-বিষয় শহিদের শেষকৃত্য: ফের রাজ্যপালের নিশানায় বাংলার প্রশাসন

Previous articleকেরিয়ারের নতুন দিশা: আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের আয়োজন অ্যাডামাস বিশ্ববিদ্যালয়ের
Next articleলক্ষ্য একুশ: এখন থেকে মাসে ২দিন রাজ্যে থাকবেন অমিত শাহ, ৩দিন নাড্ডা