নিশ্চিন্তে আর থাকা যাচ্ছে না: লালবাজারের দ্বারস্থ ‘ফেলুদা’

নিশ্চিন্তে থাকতে পারছেন না ফেলুদা। কারণ, তিনি নিজেই এবার সাইবার ক্রাইমের শিকার। তবে ইনি সত্যজিতের প্রদোষচন্দ্র মিত্র নন, সেই চরিত্রে কাজ করা সব্যসাচী চক্রবর্তী। সন্দীপ রায় রায়ের ফেলু মিত্তির অবশ্য বেশ কিছুটা আধুনিক। তবে, সব্যসাচী চক্রবর্তী সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শতহস্ত দূরে। তাঁর না আছে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, না আছে টুইটার না ইন্সট্রাগ্রাম। সেই কারণে মগনলাল মেঘরাজের মতো অপরাধীদের শায়েস্তা করা ফেলু মিত্তির প্রথমে এই বিষয়টিকে খুব একটা পাত্তা দেননি। কিন্তু বিষয়টা এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছায় যে শেষ পর্যন্ত পুলিশের দ্বারস্থ হতে হয়েছে সব্যসাচী চক্রবর্তীকে।

কারণ, ফেসবুকে তাঁর নামে অ্যাকাউন্ট খুলে সেখানে অশ্লীল ছবি, আজেবাজে মন্তব্য পোস্ট করা হচ্ছিল। 30 অক্টোবর বিষয়টি সব্যসাচী চক্রবর্তীর নজরে এলে প্রথমে তিনি পাত্তা দেননি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত 12 নভেম্বর লালবাজারে অভিযোগ দায়ের করেন অভিনেতা। গোয়েন্দা প্রধান তথা যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন) লিখিত অভিযোগ জানান সলিসিটার ফার্ম ‘মোজেস অ্যান্ড কোং– এর মাধ্যমে।

তবে শুধু পুলিশেই অভিযোগ জানাননি সব্যসাচী, তাঁর স্ত্রী অভিনেত্রী মিঠু চক্রবর্তীর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ভিডিও বার্তা পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, কোনো সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মেই তাঁর কোনো অ্যাকাউন্ট নেই। সুতরাং তাঁর নামে যে অ্যাকাউন্ট দেখাচ্ছে, সেগুলি সবই ভুয়ো। এটা বন্ধ করারও অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

তবে পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগ জানানোর 5 দিন পরেও অ্যাকাউন্টগুলি চালু রয়েছে। কোন জায়গা থেকে এই অ্যাকাউন্টগুলি অপারেট করা হচ্ছে তার সন্ধানে নেমেছেন তদন্তকারীরা।

আরও পড়ুন:পায়ে হেঁটে ১০ কিলোমিটার পেরিয়ে বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের ছাত্রীর

Previous articleপায়ে হেঁটে ১০ কিলোমিটার পেরিয়ে বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের ছাত্রীর
Next articleকেন্দ্রের কাছে পৃথক সমবায় দফতরের দাবি জানালেন শুভেন্দু