দুর্নীতির অভিযোগ, শপথের তিনদিনেই ইস্তফা বিহারের শিক্ষামন্ত্রীর

মহাজোটকে হারিয়ে ফের একবার বিহারের ক্ষমতায় বসেছে নীতীশ সরকার। তবে সরকারে বসার ৭২ ঘন্টা পার হতে না হতেই নয়া বিতর্ক শুরু হল নীতীশ মন্ত্রিসভায়। গত মঙ্গলবার বিহারে নতুন সরকারের শিক্ষা মন্ত্রী পদের দায়িত্ব নিয়ে ছিলেন মেওয়ালাল চৌধুরী। বৃহস্পতিবার তার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়ে দিলেন তিনি।

নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে বিহারে এনডিএ শাসনে মেওয়ালালকে শিক্ষামন্ত্রীর পদ দেওয়ায় সরব হয়ে ওঠেন আরজেডি সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদব। তার অন্যতম কারণ শিক্ষকতা চাকরিতে নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত এই মেওয়ালাল। এদিন নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে লালু লেখেন, ‘তেজস্বী যাদব যেখানে ক্ষমতায় এলে ১০ লক্ষ চাকরির দেওয়ায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন, সেখানেই নীতীশ কুমার তার মন্ত্রিসভায় একজন দুর্নীতিকারীকে মন্ত্রী পদ দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি কিসের ওপর অগ্রাধিকার দিতে চলেছেন। পরিস্থিতিটা দেখুন যে বিজেপি কাল পর্যন্ত মেওয়ালালকে খুঁজে বেড়াচ্ছিল। আজ তার সাক্ষাৎ মিললেও বিজেপি নিশ্চুপ হয়ে গিয়েছে।’ এই টুইটের পরই তেজস্বী যাদব সহ একাধিক আরজেডি নেতা মেওয়ালালের বিরুদ্ধে সরব হয়ে ওঠেন।

জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্ব হাতে নেওয়ার পর, বিরোধীদের তরফে তার বিরুদ্ধে তোলা একের পর এক অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে উপস্থিত হন মেওয়ালাল। দীর্ঘ ৩০ মিনিট ধরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। তবে তাদের মধ্যে মধ্যে কি আলোচনা হয়েছিল তা নিয়ে স্পষ্ট তথ্য না থাকলেও বৃহস্পতিবার দেখা যায় মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দিয়েছেন মেওয়ালাল।

আরও পড়ুন:হাথরস কাণ্ড: গ্রেফতারির ৫০ দিন পর আইনজীবীর সঙ্গে কথা সাংবাদিকের

প্রসঙ্গত, পেশাগতভাবে শিক্ষক হলেও ২০১৫ সালে জেডিইউ-র টিকিটে প্রথমবার বিধায়ক হয়েছিলেন মেওয়ালাল। এরপর ২০১৭ সালে রাজ্যের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। দায়ক হয় মামলা। এরপর অবশ্য দলবদল করে জেডিইউতে যোগ দেন ওই অভিযুক্ত।

Previous articleহাথরস কাণ্ড: গ্রেফতারির ৫০ দিন পর আইনজীবীর সঙ্গে কথা সাংবাদিকের
Next articleমাস্ক না পরলে দিতে হবে ২০০০ টাকা জরিমানা, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী