হাথরস কাণ্ড: গ্রেফতারির ৫০ দিন পর আইনজীবীর সঙ্গে কথা সাংবাদিকের

হাথরস গণধর্ষণ কাণ্ডের পর সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে আটক হয়েছিলেন তিনি। গ্রেফতার হওয়ার ৫০ দিন পর আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলার অনুমতি পেলেন কেরলের সাংবাদিক সিদ্দিকি কাপ্পানকে। তাও মাত্র পাঁচ মিনিটের জন্য।

ঘটনা কী? হাথরস গণধর্ষণ কাণ্ডের পর সংবাদ সংগ্রহ করতে যান সিদ্দিকি কাপ্পান। ওই খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আটক হন তিনি। গত ৫ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয় বছর ৪১ এর ওই সাংবাদিককে। তাঁর বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা হয়। গ্রেফতার হওয়ার ৫০ দিন পর আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেলেন তিনি। পাঁচ মিনিটের ফোনে কাপ্পান তাঁর স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানিয়েছেন আইনজীবী উইলস ম্যাথিউসকে। সেই সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁকে খাবার এবং ওষুধও সময়মতো দেওয়া হচ্ছে।

সোমবার উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নোটিশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। কাপ্পানের জামিনের আবেদন এবং তাঁর গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দায়ের হওয়া পিটিশন মামলা নিয়েই এই নোটিস। ‘‌মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে’‌, এই মর্মে কেরল সাংবাদিক সংগঠন ভারতীয় সংবিধানের ৩২ নম্বর ধারায় সাংবিধানিক রেহাই চেয়ে পিটিশন দায়ের করেছিল। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলা যায়। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী শুক্রবার।

প্রসঙ্গত, গত ১৪ সেপ্টেম্বর মায়ের সঙ্গে মাঠে কাজ করতে যান উত্তরপ্রদেশের হাথরসের তরুণী। এরপরই নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। পরিত্যক্ত জায়গা থেকে অচৈতন্য অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়।  শরীর ভেসে যাচ্ছিল রক্তে। ১৫ দিনের লড়াই শেষে দিল্লির হাসপাতালে মৃত্যু হয় নির্যাতিতা তরুণীর। আর এই মৃত্যুর পরই উত্তাল হয় সারা দেশ। প্রাথমিক পর্যায়ে সংবাদমাধ্যমকে তরুণীর গ্রামে ঢোকার উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি যোগী সরকার। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে শেষ পর্যন্ত নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসে সরকার।

আরও পড়ুন:আগামী বছরের শুরুতেই ভারতে কোভিড ভ্যাকসিন: আশার বাণী কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

Previous article‘সিদ্ধান্ত’ নিতে আরও সময় নিলেন শুভেন্দু অধিকারী
Next articleদুর্নীতির অভিযোগ, শপথের তিনদিনেই ইস্তফা বিহারের শিক্ষামন্ত্রীর