মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের মন্ত্রিসভায় এবার কি কোনও বঙ্গসন্তান?

মার্কিন মুলুকে এবার কি কোনও বাঙালি মন্ত্রীকে দেখা যেতে পারে? সেই সম্ভাবনা ক্রমশ উজ্জ্বল হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকবেন এক বঙ্গসন্তান, এমনই আভাস দিয়েছেন আমেরিকার নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সবকিছু ঠিক থাকলে সম্ভবত শক্তি দফতরের মন্ত্রী হতে পারেন ড.অরুণ মজুমদার। তিনি বর্তমানে আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছেন।

আরও পড়ুন : কুলভূষণকে পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়া ইরানের সেই জঙ্গি খতম বালুচিস্তানে

এর আগে জানা যায়, নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনে সেক্রেটারি অব হেলথ বা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পেতে চলেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত চিকিৎসক বিবেক মূর্তি। এর পাশাপাশি এবার এক বঙ্গসন্তানেরও নয়া মার্কিন মন্ত্রিসভায় সদস্য হওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। তিনি আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক অরুণ মজুমদার। গত সপ্তাহেই হোয়াইট হাউসের ডিপার্টমেন্ট অব এনার্জি ট্রানজিশন দলের প্রধান হিসাবে তাঁর নাম ঘোষণা করেছেন জো বাইডেন। প্রথম সারির মার্কিন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, তিনিই হতে চলেছেন বাইডেন প্রশাসনের শক্তি মন্ত্রী।

আরও পড়ুন : বিএনপি অপপ্রচার চালিয়ে বিদেশেও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে : শেখ হাসিনা

১৯৮৫ সালে আইআইটি বম্বে থেকে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দিয়েছিলেন অরুণ মজুমদার। বার্কলের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৯ সালে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি পান। তারপর অ্যারিজোনা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় সহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যাপনা করেছেন। আমেরিকার বেশ কয়েকটি বিখ্যাত অ্যাকাডেমির সদস্যও তিনি। তবে এর আগে ২০১১-১২-তেও শক্তি বিভাগের অন্ডারসেক্রেটারি হিসাবে কাজ করেছিলেন তিনি। সেইসময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ছিলেন বারাক ওবামা। তবে তাঁর মনোনয়ন বাতিল হয়ে যাওয়ার কারণে সেই পদ থেকে সরলেও ওবামা এরপর তাঁকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞান রাষ্ট্রদূত হিসাবে নিয়োগ করেছিলেন। এছাড়া তিনি পারমাণবিক শক্তি এবং জীবাশ্ম জ্বালানি, শক্তি দক্ষতা ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি, বিদ্যুৎ বিতরণ ও বিদ্যুৎশক্তি নির্ভরযোগ্যতা সংক্রান্তে বিভাগে প্রধান হিসাবে দায়িত্ব সামলেছেন।

Previous articleঅপারেশন সাকসেসফুল, মুকুলকে দেখতে হাসপাতালে দিলীপ
Next articleমুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবকে মান্যতা: ‘সামাজিক’-এর বদলে শারীরিক দূরত্ব