সুজাপুরের বিস্ফোরণস্থলে মেলেনি কোনও বিস্ফোরক পদার্থের নমুনা, জানাচ্ছে ফরেনসিক দল

মালদহের সুজাপুরে বিস্ফোরণস্থলে মেলেনি কোনও বিস্ফোরক পদার্থের নমুনা। প্রাথমিকভাবে অনুমান ফরেনসিক দলের। জানা গিয়েছে, মেশিনের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই এই বিস্ফোরণ হয়েছে।

এদিন সুজাপুরে বিস্ফোরণস্থলে দ্বিতীয় দফায় পরিদর্শনে আসে ফরেনসিক দল। ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে তারা নমুনা সংগ্রহ করে। এরপরেই ফরেনসিক আধিকারিক চিত্রাক্ষ সরকার বলেন, “মেশিনের যান্ত্রিক ক্রটির কারণেই মালদহের কালিয়াচকের সুজাপুরে বিস্ফোরণ হয়।”

উল্লেখ্য, এদিন ফরেনসিক দল নমুনা সংগ্রহের সময় ধ্বংস হয়ে যাওয়া মেশিনটি পরীক্ষা করতে গেলে ফের একবার মৃদু বিস্ফোরণ ঘটে। দলের প্রতিনিধিরা মেশিনে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থ দিতেই ঘটে বিস্ফোরণ। ফরেনসিক সূত্রে খবর, বাকি প্লান্টগুলিতে কীভাবে কাজ চলে, সেই বিষয়গুলিও খতিয়ে দেখতে চায় তারা।

সুজাপুরে এই বিস্ফোরণের পর থেকে এখনও কোনও মামলা করেনি পুলিশ। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন উত্তর মালদার সাংসদ তথা বিজেপি নেতা খগেন মূর্মূ। তাঁর অভিযোগ, “বিস্ফোরণের ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়ে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৬ জন। তবুও কোনও মামলা করেনি পুলিশ। বিষয়টি সন্দেহজনক।” কিন্তু সেদিনই স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে টুইট করে জানানো হয়, জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার প্রয়োজনীয় তদন্ত করছেন।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকালে মালদার কালিয়াচকের সুজাপুরে প্লাস্টিক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ৫ শ্রমিক। পরে কলকাতায় নিয়ে আসার পথে সন্ধেয় মৃত্যু হয় ওই কারাখানার মালিকের। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে শ্রমিকদের দেহগুলি আস্ত ছিল না সবটাই টুকরো টুকরো হয়ে যায়।

বিস্ফোরণের পরই দ্রুত ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে নির্দেশ দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্দেশ মতো হেলিকপ্টারে সুজাপুরে পৌঁছন ফিরহাদ হাকিম। মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের হাতে তুলে দেন ক্ষতিপূরণের চেক। মৃতদের বাড়ির সদস্যের হাতে ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন : শুভেন্দু, সৌগত-সহ ৫ সাংসদের বিজেপিতে আসা সময়ের অপেক্ষা! বিস্ফোরক দাবি অর্জুনের

Previous articleআমাকে না বলে অধীর বরং বাংলার ভোটে কিছু করে দেখান: সিব্বল
Next articleজোড়া অধিনায়কত্ব আমাদের সংস্কৃতিতে খাপ খায় না! কে বললেন?