ধারাভাষ্যকারের প্যানেল থেকে মঞ্জরেকারকে বাদ দেওয়ায় সৌরভের সমালোচনায় রামচন্দ্র

ধারাভাষ্যকারের প্যানেল থেকে সঞ্জয় মঞ্জরেকারকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তে এবার বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সমালোচনায় সরব হলেন ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহ। একসময় ক্রিকেট বোর্ডের প্রশাসকদের কমিটিতে থাকা রামচন্দ্রের মতে, ধারাভাষ্যকারের পদ থেকে সঞ্জয় মঞ্জরেকারকে বাদ দেওয়াটা বোর্ডের ভুল সিদ্ধান্ত।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া সিরিজের সম্প্রচারকারী চ্যানেলের তরফে ২২ জন ধারাভাষ্যকারের নাম ঘোষণা হয়। সেখানে রয়েছেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার মঞ্জরেকারও।
এর আগে ২০১৯–২০ মরসুমের শেষে প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটারকে ধারাভাষ্যকারের পদ থেকে বরখাস্ত করেছিল বিসিসিআই। সেই প্রসঙ্গে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে রামচন্দ্র গুহ বলেছেন, ‘‌স্বার্থের সংঘাত খুবই খারাপ। তবে সৌরভ এখন যেটা করছে, সেটা করার অনুমতি অন্য কেউ কখনওই দেবে না। ধারাভাষ্যকারদের কন্ঠরোধ করা খুবই খারাপ কাজ। ফের ধারাভাষ্যকারদের দলে নেওয়ার জন্য সঞ্জয় মঞ্জরেকরকে আবেদন করতে হয়েছিল। যা খুব করুণ ঘটনা।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেন ধারাভাষ্যের উপর বোর্ডের নিয়ন্ত্রণ থাকবে? এটা একেবারেই অযৌক্তিক। বিশ্বের অন্য কোথাও এটা হয় না।
জটিলতার সূত্রপাত গতবছর বিশ্বকাপ থেকেই। রবীন্দ্র জাদেজাকে ‘নিম্নমানে’র বলে মন্তব্য করেই ক্রিকেটপ্রেমীদের রোষানলে পড়েছিলেন মঞ্জরেকার। যদিও তিনি দাবি করেন, ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় এমন কোনও কথা বলেননি। একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন। তবে সেই বিতর্কে ঘি ঢালে পিঙ্ক বল টেস্টে মঞ্জরেকরের মন্তব্য। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ইডেনে ঐতিহাসিক টেস্টে হর্ষ ভোগলেকে কটাক্ষ করেন তিনি। তাঁর ক্রিকেটীয় শিক্ষা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দেন। সমালোচনার ঝড় ওঠায় তাঁকে সরিয়ে দেয় বোর্ড। এমনকি,আইপিএলের ধারাভাষ্যকারের তালিকাতেও রাখা হয়নি তাঁকে। বিসিসিআইয়ের কাছে দু’বার আর্জি জানিয়েও লাভ হয়নি। অবশেষে অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য ভাগ্যের শিকে ছেঁড়ে তাঁর।

Previous articleআজ ফের শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠকে বসছেন সাংসদ সৌগত রায়
Next articleবাংলা থেকে মন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে লকেট, লড়ছেন নিশীথও