চলতি বছরের গোটা সময়টাতেই প্রায় শিরোনামেই থেকেছে ‘ মাস্ক ‘ শব্দটি। তবে এখন বলব অন্য এক মাস্কের কথা। তিনি ইলন মাস্ক। টেসলা, স্পেস এক্স এর মতো সংস্থার মালিক। বর্তমানে পৃথিবীর দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি।
আরও পড়ুন : নিরাপত্তার স্বার্থে আরও ৪৩ টি মোবাইল অ্যাপ ব্লক করল কেন্দ্র
এই মুহূর্তে বিশ্বের এক নম্বর ধনীর তকমাটি দখল করে রয়েছেন অ্যামাজন সংস্থার কর্ণধার জেফ বেজোস। তৃতীয় নম্বরে রয়েছেন ‘ মাইক্রোসফট ‘ সংস্থার কর্ণধার বিল গেটস। ১২ হাজার ৭৭০ কোটি ডলার সম্পদের মালিক বিল গেটসকে পিছনে ফেলে এই মুহুর্তে ২ নম্বরে উঠে এসেছেন ইলন মাস্ক। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ১২ হাজার ৭৯০ কোটি ডলার। প্রসঙ্গত, এই তালিকায় দশ নম্বরে নাম রয়েছে শিল্পপতি মুকেশ অম্বানীর।
প্রতি বছরের মত এ বছরও বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করে ‘ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার ইনডেক্স’। চলতি বছরের শুরুতে বিশ্বের ৩৫ নম্বর ধনী হিসেবে তালিকায় ছিলেন মাস্ক। সেখান থেকে দু’নম্বরে উঠে এসেছেন তিনি। করোনার কারনে এই বছরে কম বেশি প্রতিটি সংস্থারই আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে ব্যাতিক্রম এলন মাস্ক।
বিশ্বব্যাপী আর্থিক মন্দার বছরে কিভাবে এতটা এগিয়ে গেলেন মাস্ক? জানা যাচ্ছে মূলত শেয়ারের দামের ওপর নির্ভর করেই এই উত্থান৷ টেসলার বাজার মূল্য এখন ৫০ হাজার কোটি ডলার। মাস্কের সম্পদের তিন-চতুর্থাংশই এই টেসলার শেয়ারের কারনে বেড়েছে। তার অন্য সংস্থা স্পেস এক্স এর তুলনায় টেসলার শেয়ারের দাম এই মুহুর্তে ৪ গুনের বেশি। অন্যদিকে করোনা কালে একের পর এক চুক্তি করে নিজের সম্পদ অনেকটা বাড়িয়েছেন মুকেশ অম্বানিও। তবে এহেন রকেটের গতিতে উত্থান ঘটাতে পারেননি তিনি।