স্থানীয় নেতাদের উপরও ভরসা নেই, এবার জেলায় জেলায় “বহিরাগত” লাইনে হাঁটছে বিজেপি

পাখির চোখ একুশের বিধানসভা নির্বাচন। লক্ষ্য নবান্ন দখল। সেই লক্ষ্যে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছে গেরুয়া শিবিরের ভোট ম্যানেজারেরা। যেভাবেই হোক এবার বাংলায় ক্ষমতায় আসতে চাইছেন মোদি-অমিত শাহরা। তাই কোন পরীক্ষা রাস্তায় না হেঁটে, পরীক্ষিত সেনাপতিদের নিয়েই বাংলার ভোটে ঝাঁপাতে চলেছে গেরুয়া শিবির।

অমিত শাহ ২০০ আসনের টার্গেট দিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু রাজ্য নেতাদের উপর যে একেবারে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের একেবারে ভরসা নেই সম্প্রতি বুঝিয়ে দিয়েছে বিজেপি। তাই “বহিরাগত” লাইনে হাঁটতে চাইছে গেরুয়া শিবির। রাজ্যে দীর্ঘ সময় ধরে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক রয়েছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। সহ-কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেননের সঙ্গে ভোটের আগে জুড়ে দেওয়া হয়েছে আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যকে। বাংলায় ভোটের আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারে ঝড় তুললেই মালব্যকে বেছে নিয়েছে দিল্লি বিজেপি। পাশাপাশি আগেই গোটা রাজ্যকে পাঁচটি জোনে ভাগ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৫ কেন্দ্রীয় নেতাকে। উত্তরবঙ্গের দায়িত্ব পেয়েছেন হরিশ দ্বিবেদী। বিনোদ তাওড়েকে দেওয়া হয়েছে নবদ্বীপের দায়িত্ব। বিনোদ সোনকার রাঢ়বঙ্গ ও দুষ্যন্ত গৌতম কলকাতা জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা। মেদিনীপুরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুনীল দেওধরকে। ট্র্যাক রেকর্ড অনুযায়ী,এই পাঁচজনই অতীতে বিজেপিকে বিভিন্ন রাজ্যে সাফল্য এনে দিয়েছেন। এবার তাই বাংলায় সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাতে চাইছে তারা।

তারই অঙ্গ হিসেবে রাজ্যের মতোই জেলায় জেলায় কোন স্থানীয় নেতাদের উপর ভরসা করতে চাইছে না বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাইএবার ৩৯টি সাংগঠনিক জেলার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে কেন্দ্রীয় নেতাদেরই। তাঁদের নির্দেশেই স্থানীয় নেতৃত্বকে কাজ করতে হবে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, স্থানীয় নেতাদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যাতে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেই কারণে ভোটের আগে প্রতিটি সাংগঠনিক জেলার একজন করে কেন্দ্রীয় বা বহিরাগত নেতাকে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

দলীয় সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় কেন্দ্রীয়
পর্যবেক্ষকদের থাকার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে রাজ্যেজুড়ে। ভোটের আগে রাজ্যেই থাকবেন তাঁরা। প্রতিটি মুহূর্তের রিপোর্ট দিবেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে। সেই অনুসারে পরিচালিত হবে গেরুয়া শিবিরের ভোট কৌশল।

Previous articleসোনিয়া গান্ধীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা, কংগ্রেস সাংসদ আহমেদ প্যাটেল প্রয়াত
Next articleধর্মঘটে যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে তৎপর প্রশাসন