অভিশপ্ত ২০২০! প্রয়াত প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা গুজরাত থেকে কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ আহমেদ পটেলের জীবনাবসান। কংগ্রেস শীর্ষনেত্রী সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বৃত্তে ছিলেন বর্ষীয়ান এই নেতা। তিনি সোনিয়া গান্ধীর উপদেষ্টা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। জাতীয় কংগ্রেসের কোষাধ্যক্ষের পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন আহমেদ প্যাটেল।
বুধবার ভোররাতে তিনি গুরুগ্রামের মেদান্ত হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। সম্প্রতি, করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন আহমেদ প্যাটেল। তারপর থেকেই তাঁর একাধিক শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। অবশেষে মাল্টি-অর্গাল ফেলিওরে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা। গত ১৫ নভেম্বর তাঁকে গুরুগ্রামের মেদান্ত হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভর্তি করা হয়। সেখানেই বুধবার তিনি মারা যান। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী থেকে শুরু করে দেশের পুরো রাজনৈতিক মহল।
ট্যুইটারে বাবার মৃত্যু সংবাদ জানান, আহমেদ পুত্র ফৈজল জানান, তিনি লেখেন, “গভীর দুঃখ ও শোকের সঙ্গে আমি জানাচ্ছি, আমার বাবা আহমেদ প্যাটেল প্রয়াত হয়েছেন। কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ার পর থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে এবং এদিন মাল্টি-অর্গান ফেলিওরের ফলে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।”
প্রধানমন্ত্রী মোদি লেখেন, “আহমেদ প্যাটেলজির প্রয়াণে শোকাহত। উনি বছরের পর বছর জনসেবা করেছেন। সমাজের সেবা করেছেন। প্রখর বুদ্ধির জন্য পরিচিত ছিলেন। কংগ্রেস পার্টিকে শক্তিশালী করতে তাঁর ভূমিকা সকলে মনে রাখবেন। ওনার ছেলে ফৈজলের সঙ্গে কথা হয়েছে। সমবেদনা জানিয়েছি। ওনার আত্মার শান্তি কামনা করি।”
শোক বার্তায় রাহুল গান্ধী লেখেন, “আজ দুঃখের দিন। কংগ্রেস পার্টির স্তম্ভ ছিলেন আহমেদজি। দলের সবচেয়ে খারাপ দিনেও তিনি পাশে ছিলেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কংগ্রেসের জন্য বেঁচেছেন। দলের উনি বড় সম্পদ ছিলেন। আমরা ওনার অভাব অনুভব করব। ফৈজল ও তাঁর পরিবারকে আমার সমবেদনা ও ভালবাসা।”