বিয়ের নামে ধর্মান্তরণে ১০ বছরের জেল, ‘লাভ জিহাদ’ রুখতে আরও কড়া যোগী

‘লাভ জিহাদ’-এর বিরুদ্ধে শুরু থেকেই সরব উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের সামনে আগেই তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়ে ছিলেন, ‘আমার বোনদের সম্মান নিয়ে ছেলেখেলা করলে ছেড়ে কথা বলব না’। এবার পদক্ষেপ নিলেন যোগী। বিয়ের নামে ধর্মান্তরণের বিরুদ্ধে নয়া অধ্যাদেশ জারি করার সিদ্ধান্ত হলো যোগী আদিত্যনাথ সরকারের মন্ত্রিসভায়। যে অধ্যাদেশে বলা হয়েছে ছলচাতুরি করে ধর্ম পরিবর্তন করানোর অভিযোগ প্রমাণিত হলে ১০ বছর পর্যন্ত সাজা দেওয়া হবে দোষীকে।

জানা গিয়েছে মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশ মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অধ্যাদেশ’ জারি করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে উত্তর প্রদেশের মন্ত্রী সিদ্ধার্থনাথ সিং জানান, যোগী আদিত্যনাথ নিচে এই বেআইনী ধর্মান্তরণ প্রতিরোধ অধ্যাদেশ ২০২০তে অনুমোদন দেন। যেখানে বলা হয়েছে ধর্ম পরিবর্তন করার উদ্দেশ্যে যদি কোন মহিলাকে বিবাহ করা হয়, তাহলে সেই বিয়ে আইনের চোখে বৈধ নয়। তা বাতিল বলে ধরা হবে। এটাই শেষ নয়, সেখানে আরও জানানো হয়েছে নিজের ইচ্ছায় যদি কোনও মহিলা ধর্ম পরিবর্তন করতে চান সে ক্ষেত্রে বিয়ের দুমাস আগে জেলা শাসকের কাছে এই মর্মে আবেদন জানাতে হবে। না হলে ৪ মাস থেকে ৩ বছর পর্যন্ত শাস্তি হতে পারে ওই মহিলার। রয়েছে ন্যূনতম ১০হাজার টাকা জরিমানাও।

আরও পড়ুন:২২ বার কোভিড টেস্ট করিয়েছেন সৌরভ! কেন জানেন?

দেশে হিন্দু মেয়ে এবং মুসলিম ছেলের বিয়েকে লাভ জিহাদ বলে আখ্যা দিয়েছে গেরুয়া শিবির। ইতিমধ্যে এই লাভ জিহাদ রুখতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে একাধিক যাতায়াত যে তালিকা রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা। তবে বাকিদের আগে এবার নয়া অধ্যাদেশ জারি করার পথে অনেকখানি এগিয়ে গেল যোগী আদিত্যনাথ সরকার। যোগী সরকারের তরফে যে অধ্যাদেশ আনা হচ্ছে সেখানে ধর্মান্ধদের ক্ষেত্রে ১ থেকে ৫ বছর পর্যন্ত শাস্তি ও ১৫ হাজার টাকা জরিমানার কথা বলা হয়েছে। তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের কোনও মহিলা এবং অপ্রাপ্তবয়স্কের ধর্ম পরিবর্তন করা হলে, সে ক্ষেত্রে ৩ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত কারাবাস হতে পারে। সঙ্গে জরিমানা ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।

Previous articleপিকেটিং নয়, ধর্মঘট সফল করতে মিছিলেই আস্থা বাম-কংগ্রেসের
Next articleমর্মান্তিক! পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু কোচবিহারের টিএমসিপি-র জেলা সভাপতির