বিমানবন্দরে বিদ্যুৎ বিপর্যয়! কাঠগোড়ায় মেট্রোরেল

উন্নয়নের জন্য নির্মাণ কাজ আর একদিকে তার জেরেই বিপর্যয়। এমনই ছবি কলকাতা বিমানবন্দরের। মেট্রো রেলের কাজ চলছে কলকাতা বিমান বন্দর সংলগ্ন এলাকায়। সূত্রের খবর, আচমকা একই সঙ্গে ছটি হাই টেনশন বিদ্যুৎবাহী কেবল ছিঁড়ে যাওয়ার কারণেই এই বিপর্যয় দেখা দেয়। তার সঙ্গে হেভি-ডিউটি ব্যাকআপ জেনারেটারগুলি ট্রিপ করলে বড়সড় বিপর্যয় ঘটে। বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ব্যাহত হয় কলকাতা বিমানবন্দরের পরিষেবা। ফলে বিপাকে অসংখ্য যাত্রী।

বৃহস্পতিবার কেবল ফল্ট-এর কারণে বিমানবন্দরের টার্মিনাল বিল্ডিংয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। পরের দিন সকালেও সমস্যার সমাধান না হওয়ায় আধঘণ্টা থেকে একঘণ্টা বিলম্বিত হয় তিরিশটির বেশি উড়ান। বেশ কিছু বিমান আবার যাত্রীদের মালপত্র ছাড়াই ওড়ে। ফলে গন্তব্যে পৌঁছলেও নাকাল হন যাত্রীরা।

আরও পড়ুন:করোনা ভ্যাকসিনের আর প্রয়োজন নেই, অতিমারির মধ্যে কেন এমন বললেন এই বিজ্ঞানী

বিমানবন্দর সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধেয় টার্মিনাল ভবনে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী ডিজেল জেনারেটার পর পর সাত বার ট্রিপ করে। এর পরেই অচল হয়ে যায় এরোব্রিজ, ব্যাগেজ স্ক্যানিং ও লোডিং পরিষেবা। বন্ধ হয়ে যায় লিফ্ট ও এসকেলেটরগুলি। সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশনিং ব্যবস্থাও কাজ করা বন্ধ করে। মেরামতিতে নেমে নাজেহাল হন বিমানবন্দর, মেট্রো রেলওয়ে এবং সিইএসসি-র ইঞ্জিনিয়ার ও কর্মীরা।

সবচেয়ে বড় সমস্যা হয় ব্যাগেজ ট্রান্সফার বিভাগে। কনভেয়র বেল্টগুলি কাজ না করায় মালপত্র হাতে তুলে নিয়ে স্থানান্তরিত করতে হয়। ফলে অনেক সময় নষ্ট হয় এবং উড়ানে দেরি হয়। যাত্রীদের মালপত্র ছাড়াই ওড়ার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয় একাধিক উড়ান সংস্থা। জানানো হয়, ‘পরবর্তী বিমানে মালপত্র পাঠানো হবে।’ বহু যাত্রী ও তাঁদের আত্মীয়-পরিজনরা ব্যাগেজের হদিশ করতে না পেরে উদ্বেগ প্রকাশ করে টুইট করেন।

এই বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের জন্য অভিযোগের আঙুল উঠেছে মেট্রো রেলের খননের দিকে। বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবনের বাঁদিকে থাকা উড়ালপুলের মুখেই চলেছে মেট্রো রেলের খনন। সিইএসসি-র ইঞ্জিনারদের অভিযোগ, বিদ্যুৎবাহী কেবলের গতিপথ আগাম চিহ্নিত করা সত্ত্বেও মাটি খুঁড়তে গিয়ে ৮ ফিট গভীরে থাকা সেই কেবল কেটে ফেলে মেট্রো রেলের যন্ত্র। তার জেরেই ঘটে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিপর্যয়। তবে আপাতত পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়েছে বলেই বিমানবন্দর সূত্রের খবর।

Previous articleকরোনা ভ্যাকসিনের আর প্রয়োজন নেই, অতিমারির মধ্যে কেন এমন বললেন এই বিজ্ঞানী
Next articleইস্তফার পর রবিবারই মহিষাদলে প্রথম জনসভা শুভেন্দু’র, জল্পনা, কী বলবেন তিনি!