রাজ্যপালকে “দেশলাই কাঠি”, দিলীপকে “গুন্ডা” বলে কটাক্ষ কাকলির

স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে আক্রমণাত্মক তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। আজ মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের উন্নয়ন তুলে ধরার পাশাপাশি বিরোধীদের তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন বারাসতের সংসদ। সুর চড়িয়ে বলেন, রাজ্যপাল দেশলাই কাঠি আর বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ গুন্ডা।

রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকার এর ভূমিকায় অসন্তুষ্ট কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তাঁর বক্তব্য, রাজ্যপাল এখনও কেন বিজেপিতে যোগদান করছেন না? তিনি তো বিজেপির মুখপাত্র হয়েই কথা বলছেন। শুধু তাই নয়, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় রাজ্যে আগুন লাগাতে চাইছেন। আসলে তিনি বিজেপির হয়ে দেশলাই কাঠির মত কাজ করছেন। ধনকরেড় একতরফা বক্তব্য প্রমাণ করছে, আসলে তিনি রাজ্যপাল নন, রাজ্যপালের নামে বিজেপির প্রতিনিধি। শুধু তাই নয়, বর্তমান রাজ্যপাল রাজ্যে আগুন লাগাতে চাইছেন। এবং তিনি বিজেপির হয়ে দেশলাই কাঠির ভূমিকা নিয়েছেন। অভিযোগ কাকলির।

এখানেই থেমে থাকেননি কাকলি। বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, উনি কে, তাঁকে তো কেউ চেনেন না। উনি নিজেকে গুন্ডা বলছেন। গুন্ডামি করবেন বলছেন। বাংলার মানুষ কোনও গুন্ডাকে প্রশ্রয় দেবে না। সময় মতো মানুষ জবাব দেবেন। উনি তো বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতি বোঝেন না। বাংলা ভাষাতে কথা বলতে পারেন না। কী বলছেন, কেন বলছেন নিজেই জানেন না! আসলে উনি গুন্ডা, আর গুন্ডাদের ভাষাতেই কথা বলছেন।

শুধু রাজ্যপাল বা বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ নয়, কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধেই সরব হলেন কাকলিদেবী।আমফান ত্রাণে ”দুর্নীতি” নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পর ফের অনুদান ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়াল তৃণমূলও। সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার বলেন, ”মাঝে মাঝে ছেলে ভোলানোর মতো রাজ্যকে এক হাজার কিংবা দু’হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়। আর কেন্দ্রের তরফে প্রচার করা হয়, পশ্চিমবঙ্গকে কত টাকা দিলাম! প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের টাকা কোথা থেকে আসে, কোথায় যায়? এই অস্বচ্ছতার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। এই টাকা কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের নয়। জিএসটি বাবদ করও রাজ্যগুলি সংগ্রহ করে দেয়।”

আরও পড়ুন- বালুরঘাটে বন্ধ ওষুধের দোকানে আগুন, ক্ষতি দশ লক্ষাধিক টাকার

Previous articleবালুরঘাটে বন্ধ ওষুধের দোকানে আগুন, ক্ষতি দশ লক্ষাধিক টাকার
Next articleশেহলার বিরুদ্ধে বিজেপির হাতে ‘অস্ত্র’ তুলে দিলেন বাবা, পাল্টা কুকীর্তি ফাঁস করলেন মেয়ে