“এরা প্রধানমন্ত্রীকেও বহিরাগত বলে!” এবার বেসুরো বৈশালী

শুভেন্দু অধিকারী পর্বের মধ্যেই জটু লাহিড়ী, রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, শীলভদ্র দত্ত-এর মতোই এবার শাসক দলকে অস্বস্তিতে ফেললেন আরেক বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া।

বালির তৃণমূল বিধায়ক বৈশালীর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য রাজনৈতিক মহলে নতুন করে জল্পনা তৈরি করেছে। তাঁর মন্তব্য, “প্রধানমন্ত্রীকেই যেখানে বহিরাগত বলা হয়, সেখানে আমি কোন ছাড়!”

কিন্তু এই ডামাডোলের বাজারে হঠাৎ কেন এমন মন্তব্য করতে গেলেন বৈশালী? জানতে হলে একটু পিছনে ফিরতে হবে। গত মঙ্গলবার সকালে বালি বিধানসভার বিভিন্ন এলাকায় একটি পোস্টারে ছয়লাপ হয়ে যায়। যেখানে সরাসরি বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়ার নাম না থাকলেও তাঁকেই ইঙ্গিত করে সেই পোস্টার তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

কী ছিল সেই পোস্টার?

নাম না করে বৈশালী ডালমিয়ার বিরুদ্ধে বালির একাধিক জায়গায় সাঁটানো পোস্টারে তৃণমূল নেত্রীর কাছে আর্জি জানানো হয়, “বহিরাগত নয়, বালির মানুষকে দলের প্রার্থী হিসেবে চাই।” এই মর্মে পোস্টার দিয়ে দাবি করে “তৃণমূল সক্রিয় কর্মীবৃন্দ”।

আরও পড়ুন:কৃষক বিদ্রোহ অব্যাহত, আজ বৈঠকে কি মিলবে সমাধান?

এই ঘটনার পর বৈশালী প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া ছিল, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে দলেরই একটা অংশই। শীর্ষ নেতৃত্বকে সে কথা তিনি জানিয়েছেন। তবে থেমে থাকেননি বৈশালী। এবার কিছুটা সুর চড়িয়ে বালির তৃণমূল বিধায়ক বললেন, ”এরা সবসময় বলে আমাদের প্রধানমন্ত্রী বহিরাগত। বাইরে থেকে কেউ আসলে বহিরাগত বলা হচ্ছে। ভারত একটা দেশ। প্রধানমন্ত্রী আমাদের পরিবারের প্রধান। তাঁকেই বহিরাগত বলা হচ্ছে, আর আমি তো সেখানে তুচ্ছ।”

“এরা” বলতে কাদের বোঝাতে চাইলেন বৈশালী?

একুশের নির্বাচনকে পাখির চোখ করে রাজ্যজুড়ে সংগঠনকে ঢেলে সাজাচ্ছে বিজেপি। এবং সেখানে অমিত শাহ-জেপি নাড্ডাদের নির্দেশেই সব হচ্ছে। তাঁরা ঘনঘন রাজ্য সফরে আসছেন। রাজ্যকে বিভিন্ন জোনে ভাগ করে কেন্দ্রীয় নেতাদের তদারকি করতে বলা হয়েছে। ফলে এখন রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতাদের আনাগোনা লেগেই রয়েছে। এবং ভোট পর্যন্ত সেটাই চলতে থাকবে। আর তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে “বহিরাগত” বলে আক্রমণ শানানো হচ্ছে। এমনকি, কোথাও কোথাও প্রধানমন্ত্রী মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও বহিরাগত বলা হচ্ছে। ফলে কে বা কারা কী অর্থে কাকে বহিরাগত বলবেন বা বলছেন সেটা স্পষ্ট। এবং সেই জায়গাতেই খোঁচা মারলেন বৈশালী ডালমিয়া। একেবারে পার্টি লাইনের বিপরীতে হেঁটে, বেসুরো কথায়।

Previous articleকৃষক বিদ্রোহ অব্যাহত, আজ বৈঠকে কি মিলবে সমাধান?
Next articleআজ মুখ্যমন্ত্রীর হাত দিয়ে উদ্বোধন, সেজে উঠেছে মাঝেরহাট ব্রিজ