দাবি না মানলে এবার সংসদ ভবন ঘেরাও, বৈঠকের আগেই হুঁশিয়ারি কৃষকদের

কৃষকদের ওপর জোরপূর্বক চাপিয়ে দেওয়া কৃষি আইন অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে এই দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন কৃষকরা। দশম দিনের এই আন্দোলনে শনিবার পঞ্চম দফায় সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চলেছে কৃষক সংগঠনগুলি। তবে তার আগেই এদিন কৃষকদের তরফে হুঁশিয়ারি দিয়ে দেওয়া হল সরকারকে। শনিবার কৃষকদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, শনিবারের বৈঠকে যদি কোনওরকম সমাধানসূত্র না বের হয় সে ক্ষেত্রে সংসদ ভবন ঘেরাও করবেন তারা। কৃষকদের এহেন হুঁশিয়ারিতে স্বাভাবিকভাবেই বৈঠকের আগে বেশ চাপে কেন্দ্রীয় সরকার।

গত বৃহস্পতিবার সরকারের সঙ্গে চতুর্থ দফার বৈঠকে কৃষকদের তরফে সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছিল, অবিলম্বে সংসদে বিশেষ অধিবেশন চালু করে প্রত্যাহার করে নেওয়া হোক কৃষি আইন। যদিও কৃষকদের এই দাবির প্রেক্ষিতে কোনও উচ্চবাচ্য করেনি সরকার। তবে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দেন, এমএসপি-র ক্ষেত্রে কোনও রকম পরিবর্তন আনা হচ্ছে না। সঙ্গে এটাও জানিয়ে দেওয়া হয় কৃষকদের প্রতি সরকারের কোনও ইগো নেই। তবে কৃষকদের তরফে স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়, শুধু এমএসপি নয়, সদ্য পাস হওয়া তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নিতে হবে। এহেন অবস্থার মাঝেই শনিবার পঞ্চম দফায় বৈঠকে বসতে চলেছে কেন্দ্র ও কৃষক সংগঠনগুলির। তার আগেই এবার কৃষকের তরফে হুঁশিয়ারি এল, এই বৈঠকে কোনও সমাধান সূত্র বের না হলে এবার সংসদ ঘেরাও অভিযান করবেন কৃষকরা।

আরও পড়ুন:কৃষক আন্দোলন নিয়ে কলকাতায় তৃণমূল-আকালি দল বৈঠক, নজর রাজনৈতিক মহলের

প্রসঙ্গত, শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে কৃষক সংগঠনের তরফ এ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল কৃষি আইন প্রত্যাহার না হলে আন্দোলনের জোর আরও বৃদ্ধি করা হবে। শনিবার দেশজুড়ে মোদির কুশপুতুল দাহ করার পাশাপাশি ৮ ডিসেম্বর ভারত বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রীয় পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন একাধিক ক্রীড়াবিদ ও শিল্পীরা। সবমিলিয়ে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলন বেশ চাপে ফেলে দিয়েছে মোদি সরকারকে।

Previous articleকৃষক আন্দোলন নিয়ে কলকাতায় তৃণমূল-আকালি দল বৈঠক, নজর রাজনৈতিক মহলের
Next articleশহরে ফের গৃহবধূর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য