কৃষক বিক্ষোভের আঁচ এবার রাষ্ট্রসংঘেও, অস্বস্তি কেন্দ্রের

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর পর এবার রাষ্ট্রসংঘ থেকেও কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে ‘বার্তা’ এল। স্বভাবতই এই ঘটনায় উষ্মা ও অস্বস্তি দুইই বেড়েছে মোদি সরকারের। ভারতের পক্ষ থেকে যদিও অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অন্য দেশের নাক গলানোকে অবাঞ্ছিত বলা হচ্ছে, কিন্তু খোদ রাষ্ট্রসংঘ এই ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া দেওয়ায় চাপে কেন্দ্র। যে কৃষি আইনকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে প্রচার করছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সেই বিষয়ে টানা দশদিনের কৃষক বিদ্রোহ ঘরে-বাইরে অস্বস্তি বাড়াচ্ছে সরকারের। রাজধানী দিল্লি ঘেরাও করে পাঞ্জাব, হরিয়ানা সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা লক্ষাধিক কৃষকের জমায়েত, প্রতিবাদ বহির্বিশ্বে সরকারের ভাবমূর্তি নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। তাই প্রবল চাপের মুখে এই সমস্যার দ্রুত মীমাংসায় মাঠে নামতে হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রথম সারির মন্ত্রীদের।

দিল্লির কৃষক আন্দোলন নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের পক্ষ থেকে উদ্বেগ ব্যক্ত করা হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেছেন, সমস্ত মানুষের শান্তিপূর্ণ গণ আন্দোলনের অধিকার রয়েছে। কর্তৃপক্ষের উচিত সেই অধিকার নিশ্চিত করা। ভারতের কৃষক আন্দোলন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে দুজারিক বলেন, সবক্ষেত্রে যা বলি এক্ষেত্রেও তাই বলব। শান্তিপূর্ণ পথে গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলনের অধিকার সব মানুষের আছে। এই অধিকার রক্ষা করতে হবে।

আরও পড়ুন-ভারতের প্রতিবাদের পরেও ‘মন্তব্য’ থেকে সরতে নারাজ কানাডার প্রধানমন্ত্রী!

Previous articleস্তাবকরা সামনে, কাজ করলেও পিছনে: বিস্ফোরক রাজীব
Next articleসাংবাদিক বৈঠক করে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন মৌসম, কী বললেন তিনি?