মমতার ‘ভার্চুয়াল’ বৈঠকের পরই ‘দাদার অনুগামী’ হয়ে গেলেন ‘দিদির ভাই’

তাহলে ‘উল্টোরথ’-এর যাত্রা শুরু ?

ছিলেন ‘দাদার অনুগামী’, হয়ে গেলেন ‘দিদির ভাই’ !

তাহলে কি শুক্রবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ভার্চুয়াল’ বৈঠকে ডাক পাওয়ার পরেই বদলে গেলো মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতির পরিচয় ?

মমতার বৈঠকে ডাক পেয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের জেলা সভাধিপতি মোশারফ হোসেন মণ্ডল৷ আর তারপরই তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন, ” “দিদির নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে আমি পালন করবো।” ‘বিশিষ্ট’ এক ‘দাদার অনুগামী’ যেভাবে ‘দিদির ভাই’-য়ে বদলে গেলেন, তা নিয়ে জেলায় জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।
দু’‌দিন আগেও ‘অনুগামী’ ছিলেন মোশারফ হোসেন৷ তার পরে আচমকাই প্রশাসন প্রত্যাহার করে নেয় মোশারফের নিরাপত্তারক্ষী৷ এই ঘটনা নিয়েও মন্তব্য করেছিলেন তিনি৷ সেই মোশারফের গলাতেই শুক্রবার রাত থেকে অন্য সুর৷ মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক সেরে মুর্শিদাবাদের জেলা সভাধিপতি মোশারফ হোসেন মণ্ডল বলেছেন, ‘”দিদি আজ যা যা নির্দেশ দিয়েছেন, তা আমি অক্ষরে অক্ষরে পালন করবো।”
এই মন্তব্যের পরেই জেলায় প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে মোশারফ বা মধু কি আর ‘দাদা’র সঙ্গে নেই?‌ তিনি কি তৃণমূলেই থাকছেন?‌ ‘দাদা’ ফের ডাক দিলে তিনি কী করবেন ? সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদ জেলায় শুভেন্দু অধিকারীর প্রধান এবং ঘনিষ্ঠতম অনুগামী হিসেবে পরিচিত মোশারফ ওরফে মধু সাম্প্রতিক অতীতেও প্রতিনিয়ত ঘনিষ্ঠ মহলে বলেছেন, “আমাকে দাদা যা করতে বলবেন তাই-ই করবো।” আগামীদিনে তিনি ঠিক কী করবেন, তা নিয়ে এলাকার মানুষের মনে অবশ্য এখনও সন্দেহ রয়েছে৷ মধুর কথা এখনও অনেকেই বিশ্বাস করতে রাজি নন। বিশেষ করে নীচুতলার কর্মীরা।এদিকে, তৃণমূলের অন্দরের খবর, শুধু মোশারফ নয়, শুভেন্দু- ঘনিষ্ঠ বহু অনুগামীকে কৌশলগত কারনেই মমতার ভার্চুয়াল বৈঠকের লিঙ্ক পাঠানো হয়েছিলো৷ বৈঠকে যোগ দেওয়ার সুযোগ করে দিয়ে তাঁদের দলে রাখতেই চেয়েছে দল৷ প্রথমে অবশ্য মধুকে
বা শুভেন্দুর অন্যান্য অনুগামীদের ডাকা হয়নি। পরে তাদের বৈঠকে যোগ দেওয়ার লিঙ্ক পাঠানো হয় বলে খবর৷ জেলা সভাপতি আবু তাহের খান বলেছেন, “দলে কোনও বিভেদ নেই৷ দিদির ঘোষিত কর্মসূচি পালন করাই আমাদের লক্ষ্য।”

আরও পড়ুন-পূর্ব মেদিনীপুরের দুই ‘শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ’ ব্লক সভাপতিকে সরিয়ে দিলো তৃণমূল

Previous articleকনকাশন পরিবর্তন নিয়ে মুখ খুললেন বিরাট কোহলি
Next articleকৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আকালি দলের পাশে থাকলেও বনধে সায় নেই তৃণমূলের