কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আকালি দলের পাশে থাকলেও বনধে সায় নেই তৃণমূলের

কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরোধিতায় উত্তাল দেশ। বিশেষ করে দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তে কৃষকরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক ভেস্তে গিয়েছে। সেই আন্দোলনে ইন্ধন জোগাতে কলকাতা থেকে ছুটে গিয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন।

কৃষক নেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষি আন্দোলনের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন মমতা। বাংলার বুকেও কৃষক আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। আর তারই মাঝে কলকাতায় হাজির শিরোমণি অকালি দলের প্রতিনিধিরা। আজ, শনিবার তৃণমূল ভবনে তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডেরেক ও’ ব্রায়েনের সঙ্গে বৈঠক করলেন আকালি দলের তিন সাংসদ।

কৃষি আইনের বিরোধিতা করে আগেই মোদি সরকারের সঙ্গ ত্যাগ করেছে আকালি দল। দলের সহ-সভাপতি প্রেম সিং চন্দুমাজরা নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি কলকাতায় আসে। লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের সঙ্গে তৃণমূল ভবনে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে বৈঠক করেন তাঁরা।

বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,”অবিলম্বে কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। তিনটি বিল পাঠাতে হবে স্ট্যান্ডিং অথবা সিলেক্ট কমিটিতে।”

অন্যদিকে, বৈঠকের পর প্রেম সিং বলেন,”কৃষি বিল প্রত্যাহার করতেই হবে কেন্দ্রকে। এই নতুন বিলে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের কোনও নিশ্চয়তা নেই। এই আন্দোলনকে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে পাশে চাই।”

এদিকে, আগামী ৮ ডিসেম্বর ভারত বনধ ডেকেছে কৃষক সংগঠনগুলি। তবে বনধের ইস্যুগুলোকে নৈতিক সমর্থন জানালেও পার্টি লাইন মেনে নিজের রাস্তায় নেমে বনধকে সমর্থন করবে না তৃণমূল। এ প্রসঙ্গে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,”আমরা বনধকে নৈতিকভাবে সমর্থন করি। তবে আমার রাস্তায় নামব না। পশ্চিমবঙ্গ খেত-মজুর সংগঠনের সভাপতি বেচারাম মান্নার নেতৃত্বে ৮ তারিখ থেকে ধর্মতলায় লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভে বসবে তৃণমূল। ১০ তারিখ সেই বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে সামিল হবেন।”

আরও পড়ুন-মমতার ‘ভার্চুয়াল’ বৈঠকের পরই ‘দাদার অনুগামী’ হয়ে গেলেন ‘দিদির ভাই’

Previous articleমমতার ‘ভার্চুয়াল’ বৈঠকের পরই ‘দাদার অনুগামী’ হয়ে গেলেন ‘দিদির ভাই’
Next article‘ধারাবাহিকতার চূড়ান্ত অভাব’, রাহুল গান্ধীর সমালোচনায় সরব পাওয়ার