‘ধারাবাহিকতার চূড়ান্ত অভাব’, রাহুল গান্ধীর সমালোচনায় সরব পাওয়ার

ঘরোয়া সমালোচনায় দীর্ঘদিন ধরেই বিদ্ধ জাতীয় কংগ্রেস। সরাসরি রাহুলের নাম না তুললেও কপিল সিব্বল, গুলাম নবী আজাদের মত নেতৃত্বরা বারবার বুঝিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেসে নেতৃত্বের অভাব ও গা-ছাড়া মনোভাব দলের পতনের কারণ। সেই ধারা অব্যাহত রেখে এবার সরাসরি রাহুল গান্ধীর নাম ধরেই কংগ্রেসের সমালোচনা করলেন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার। তার স্পষ্ট কথা, ‘রাহুলের মধ্যে ধারাবাহিকতার অভাব রয়েছে’।

সম্প্রতি পুনের এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন শরদ পাওয়ার। সেখানে তাকে প্রশ্ন করা হয়, দেশ কি রাহুল গান্ধীকে নেতা হিসেবে মেনে নিতে তৈরি? এর উত্তরে পাওয়ার জানান এ বিষয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন রয়েছে। তবে রাহুলের মধ্যে ধারাবাহিকতার অভাব রয়েছে। অবশ্য রাহুল সম্পর্কে এহেন মন্তব্য শরদ পাওয়ারের এই প্রথমবার নয়। এর আগেও তিনি বলেছিলেন, রাহুলকে মাঠে নামতে হবে, গোটা দেশ সফর করতে হবে, সকলের সঙ্গে কথা বলতে হবে। কিন্তু অল্প কিছুদিন সক্রিয় থেকে ফের উধাও হয়ে যান তিনি। যা কংগ্রেসের শক্ত জমিতে ফেরার জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক লক্ষণ। যদিও শুধু রাহুল নন প্রিয়াঙ্কা সম্পর্কেও এই একই অভিযোগ উঠেছে কংগ্রেসের অন্দরে। উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বে থাকা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী উত্তরপ্রদেশের মাটিতে অল্প কিছুদিনের জন্য সক্রিয় থাকেন। বাকি সময়টা দিল্লি থেকেই কাজ চালান তিনি। সাম্প্রতিক বিহার নির্বাচনে অল্প কিছুদিনের জন্য রাহুল হাজিরা দিলেও প্রিয়াঙ্কা ও চত্বর মাড়াননি। উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বে থেকেও উপনির্বাচনে প্রচারে দেখা যায়নি তাঁকে। এর ফল ভুগতে হয়েছে কংগ্রেসকে।

আরও পড়ুন:সারদা: জেল থেকে সুদীপ্তর চিঠি ঘিরে জল্পনা

এহেন অবস্থায় পাওয়ারের এই মন্তব্য নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। তবে রাহুলের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা যাচ্ছে, জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে কংগ্রেস সভাপতি পদে নির্বাচনের পর পুরো মাত্রায় সক্রিয় হয়ে উঠবেন রাহুল গান্ধী। এদিকে ওই অনুষ্ঠানে শরদ পাওয়ার বলেন যে কোন পার্টির নেতৃত্ব দলের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতার ওপর নির্ভর করে। আমার সঙ্গে সোনিয়া গান্ধী ও তার পরিবারের মতভেদ ছিল। কিন্তু এখনও কংগ্রেস নেতা কর্মীদের মধ্যে গান্ধী ও নেহেরু পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রয়েছে।

Previous articleকৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আকালি দলের পাশে থাকলেও বনধে সায় নেই তৃণমূলের
Next articleভারতের প্রতিবাদের পরেও ‘মন্তব্য’ থেকে সরতে নারাজ কানাডার প্রধানমন্ত্রী!