সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কেই কি মুখ হিসেবে সামনে রেখে বাংলায় ভোটে নামবে বিজেপি? ইঙ্গিত ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে।

সূত্রের খবর, খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সৌরভকে বলেছেন,” তৈয়ার রহিয়ে। ওয়াক্ত আ রহা হ্যায়।”
এবং সৌরভ ঘনিষ্ঠমহলে এ বিষয়ে মতামত নিতে শুরু করে দিয়েছেন।

সৌরভের সঙ্গে অমিত শাহের পুত্র জয় বিসিসিআইতে আছেন। এবার বিজেপির পুজো উদ্বোধনে মোদির অনুষ্ঠানে নাচ পরিবেশন করেছেন ডোনা। সৌরভের বৌদি মোম তো সক্রিয়ভাবেই বিজেপিতে।

সৌরভের সঙ্গে একদা বাম নেতাদের ভালো সম্পর্ক ছিল। সৌরভের বিয়েতে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুও গিয়েছিলেন। অশোক ভট্টাচার্য তো সৌরভের শ্রদ্ধেয়। পরে বিজেপি শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও সৌরভের সম্পর্ক দারুণ।



অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের কিছু নেতার সঙ্গে সৌরভের পরিচয় ঘনিষ্ঠ হলেও তেলেজলে মিশ খায়নি। মমতা সৌরভকে সিএবি সভাপতি হতে সাহায্য করেছিলেন। জগমোহন ডালমিয়ার কন্যা বৈশালীকেও বিধায়ক করেন। তবু কখনই সৌরভ মমতার ঘনিষ্ঠবৃত্তের বলে পরিচিত হননি।


এদিকে এখন কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল বিজেপি সৌরভকেই সামনে রেখে ভোটে লড়বে। এই বিষয়টিই পেকে উঠেছে। তাঁকেই অলিখিতভাবে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরবে বিজেপি। ক্রিকেটারের জনপ্রিয়তা আর ক্রিকেট প্রশাসনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চাইবে তারা। জানা গিয়েছে, অমিত শাহ তো বটেই, এবার সম্প্রতি মোদিও সৌরভকে বার্তা দিয়েছেন।

সৌরভ ঘনিষ্ঠমহলে মতামত নিচ্ছেন।
মতামত দুরকম।
একপক্ষ বলছে সৌরভের এই ভূমিকা জরুরি। এতে সাফল্য আসবেই। নতুন প্রজন্ম দারুণভাবে নামবে।

অন্যপক্ষ বলছে বাংলা রাজনীতিসচেতন। এখানে মিডিয়ায় হুজুগ উঠলেও ভোটে বেশি প্রভাব পড়বে না। উল্টে সৌরভের ফ্যানরা বিভক্ত হয়ে যাবেন। ভোটের ফল খারাপ হলে সেটা সৌরভের পক্ষে অমর্যাদাকর হবে।

সূত্রের খবর, সৌরভ নিজে চ্যালেঞ্জ নেওয়ার পক্ষে। নতুন ইনিংসের জন্য আত্মবিশ্বাসীও বটে। তবে ঘনিষ্ঠ বিশিষ্টদের মতামত সবদিক থেকে খতিয়ে দেখছেন তিনি।
আরও পড়ুন- কলেজের অচলাবস্থায় নাম জড়িয়ে অপমান! রাজ্যপালের কাছে নালিশ বৈশাখী-শোভনের
