শিলিগুড়িতে ধুন্ধুমার কাণ্ড, বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযানকে কটাক্ষ পার্থর

“বাহুবলী রাজনীতির আমদানি করছে। ভয় ভীতির সঞ্চার করে মানুষকে চুপ করিয়ে রাখা যাবে না। যেখানে যাচ্ছে, যাক। এসব করে লাভ হবে না, মানুষই এর জবাব দেবে।” বিজেপি যুব মোর্চার উত্তরকন্যা অভিযানকে এভাবেই কটাক্ষ করলেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।

প্রসঙ্গত, মাত্রা দু’মাসের ব্যবধানে কলকাতার নবান্নের পরে এবার শিলিগুড়ির উত্তরকন্যা অভিযান কর্মসূচি নেয় বিজেপি। যেখানে রাজ্যের শীর্ষনেতাদের পাশাপাশি হাজির বাংলার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আজ, সোমবার উত্তরকন্যায় সাড়াশি আক্রমণ হবে বলে আগেই দাবি করেছিল বিজেপি নেতৃত্ব। তাকেই পাল্টা কটাক্ষ তৃণমূলের।

এদিকে নবান্নের মতো উত্তরকন্যা অভিযানকে ব্যর্থ করতে সকাল থেকেই কোমর বেঁধে প্রস্তুত ছিল পুলিশ প্রশাসন। পুলিশের সমস্ত শীর্ষ কর্তারা রাস্তায় নেমেছেন। বিজেপির মিছিল যাতে উত্তরকন্যার ধারেপাশে পৌঁছতে না পারে, তার জন্য গড়ে তোলা হয়েছে পুলিশ দুর্গ। শিলিগুড়ির তিনবাত্তি মোড়ে জলকামান, ব্যারিকেড, কাঁদানে গ্যাস নিয়ে তৈরি সারি সারি পুলিশ কর্মী। ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছেছেন বিজেপি নেতা-নেত্রী-কর্মীরা। তাঁদের বাধা দিতেই ধুন্ধুমার কাণ্ড। পুলিশের সঙ্গে কার্যত খন্ডযুদ্ধ শুরু হয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের। বাধ্য হয়ে জলকামান কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। ছত্রভঙ্গ করতে মৃদু লাঠিচার্জ ও করা হয়।

কৈলাস বিজয়বর্গীয় নেতৃত্বে একটি মিছিল আসছিল জলপাই মোড় থেকে। অন্যটি দিলীপ ঘোষের মিছিল, আসছিল ফুলবাড়ি থেকে। সেই মিছিলটিও ফ্লাইওভার পেরতেই বাধাপ্রাপ্ত হয়।

আরও পড়ুন : কেন্দ্রীয় নেতার সামনেই বিজেপির বিক্ষুব্ধদের স্লোগান, ‘বিপ্লব হঠাও, বিজেপি বাঁচাও’

এনএইচপিসি-র অতিথি নিবাসে যাওয়ার পথে আজ দিলীপ ঘোষ ও সায়ন্তন বসুকে আটকায় পুলিশ। প্রথমে তাঁদের আটকানো হয় কামরাঙাগুড়ি মোড়ে। সেখানে পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে বচসা হয় দুই বিজেপি নেতার। তারপর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর আবার উত্তরকন্যার কাছে এনএইচপিসি অতিথি নিবাসের মুখে আটকানো হয় তাঁদের। বিজেপি নেতারা জানান, তাঁরা অতিথি নিবাসে বিশ্রাম নিতে এসেছেন। এরপর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

বিজেপির যুব মোর্চার উত্তরকন্যা ঘেরাও অভিযান কর্মসূচিতে যোগদান করতে যাবার পথে নাগরাকাটা ভানু মোড় এলাকায় বিজেপি সাংসদ জন বার্লা ও নেতা কর্মীদের আটকানোর অভিযোগ। পরে সাংসদ ও বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে বার্লাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

সবমিলিয়ে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযানকে ঘিরে যথেষ্ট রাজনৈতিক উত্তেজনা রয়েছে শিলিগুড়িতে।

Previous articleভক্তদের অভিনব স্মরণ মারাদোনাকে
Next articleসরকারি হাসপাতাল যাচ্ছে বেসরকারি হাতে? দুর্নীতির আশঙ্কা প্রকাশ রাজ্যপালের