ত্রিপুরায় বিজেপির অন্তর্কলহ প্রকাশ্যে, বিপ্লব দেবকে ঘিরে অশান্তি চরমে

ত্রিপুরায় ক্ষমতাসীন বিজেপির অন্তর্কলহ প্রকাশ্যে । মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে ঘিরে অশান্তি, কোন্দল চরমে উঠেছে। দুদিন আগে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে ত্রিপুরার পর্যবেক্ষক বিনোদ সোনকার প্রথম রাজ্যে পা রেখেছেন । তিনি ত্রিপুরায় পা রাখতেই দলীয় কর্মীদের একাংশ বিপ্লবের অপসারণের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন।

আগরতলায় রাজ্য সরকারি অতিথিশালায় তাঁরা ‘বিপ্লব হঠাও, বিজেপি বাঁচাও’ স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। যদিও দুদিনের রাজ্য সফরে আসা সোনকর ঘরোয়া মতবিরোধের প্রশ্ন উড়িয়ে ‘সবই ঠিক আছে’ বলে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন।
সোনকার দুদিন ধরে দলীয় বিধায়ক, সাংসদ সহ রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্ব ও বিপ্লব দেবের সঙ্গেও কথা বলেন। তিনি বলেছেন , আমাদের দল কার্যকর্তাদের নিয়ে তৈরি সংগঠন। আমাদের প্রাথমিক উদ্দেশ্য সম্মান সহকারে তাদের কথা শোনা। রাজ্যে যেহেতু দীর্ঘদিন কোনও পর্যবেক্ষক পদে কেউ ছিলেন না, তাই কর্মীরা যা বলতে চান, বলতে পারতেন না। কারও মধ্যেই কোনও ক্ষোভ নেই। সব ঠিক আছে। প্রত্যেকের সঙ্গেই কথা বলেছি, তবে একবারের সফরে সেটা সম্ভব নয়। তার সঙ্গে দেখা করার কৌতূহল ছিল তুঙ্গে। ২০১৮-য় সোনকার ত্রিপুরা সফরে এসেছিলেন দলের তফসিলি জাতি মোর্চার ইনচার্জ হিসাবে।
বেশ কিছুদিন ধরেই মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে রাজ্য বিজেপিতে ক্ষোভ মাথাচাড়া দিচ্ছিল বলে সূত্রের খবর। গত অক্টোবরেই দলের একদল বিক্ষুব্ধ বিধায়ক রাজ্যে অপশাসনের অভিযোগ তুলে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার কাছে। চার বিক্ষুব্ধ বিধায়ক তাঁকে রাজ্যের রাজনৈতিক, দলীয় সাংগঠনিক হাল নিয়েও অবহিত করেন। বিক্ষুব্ধদের দাবি, বিপ্লব স্বৈরতান্ত্রিক, অনভিজ্ঞ, জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন। তাঁকে সরাতে হবে। মূলতঃ সুদীপ রায় বর্মনই একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রীর প্রকাশ্যে সমালোচনা করেন। গত জুনে সুদীপকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণ করা হয়। এরপর থেকেই তিনি মুখ খোলেন। তার সুরে সুরে মেলান অনেকেই ।

Previous articleবনধ উপেক্ষা করে কোচবিহারে আন্দোলন স্বাস্থ্য কর্মীদের
Next articleআলাদা দল’ই গড়ছেন শুভেন্দু, ঘোষণা নিয়ে ধন্দ, কণাদ দাশগুপ্তর কলম