কৃষি আন্দোলনকে সমর্থন একাধিক মার্কিন সাংসদের, ক্ষুব্ধ নয়াদিল্লি

কেন্দ্রীয় সরকারের তিনটি কৃষি বিল প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন ক্রমশ তীব্র হচ্ছে গোটা দেশে। মঙ্গলবার ভারত বনধের ডাক দিয়েছেন কৃষকরা। এহেন অবস্থায় ভারতের কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে সরব হতে দেখা গেল আমেরিকার সাংসদদের। আমেরিকার একাধিক সাংসদ ভারতের নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত কৃষকদের সমর্থন করেছেন। এবং শান্তিপূর্ণভাবে তাদের আন্দোলন জারি রাখার অনুমতি দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। কৃষক আন্দোলনের প্রেক্ষিতে মার্কিন সাংসদের এহেন বয়ানে তীব্র নিন্দা করেছে ভারত। জানানো হচ্ছে এহেন বিবৃতি বিভ্রান্তিকর এবং অনুচিত। পাশাপাশি এটাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ এবং এটা ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয়।

এদিন ভারতীয় কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে মার্কিন কংগ্রেসের সাংসদ ডগ লামালফা বলেন, ‘ভারতে কৃষকরা তাদের জীবিকা বাঁচাতে এবং সরকারের বিভ্রান্তিকর অস্পষ্ট নিয়ম কানুনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। পঞ্জাবের আন্দোলনরত ঐ সমস্ত কৃষকদের আমি সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করি।’ কৃষক আন্দোলন নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার রিপাবলিকান সাংসদ, তিনি জানিয়েছেন, ‘পাঞ্জাবের কৃষকদের সরকারের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ প্রদর্শনের অনুমতি দেওয়া উচিত’। পাশাপাশি ডেমোক্র্যাট সাংসদ হার্ডার ভারতীয় কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘ভারত পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ। সরকারের উচিত তাদের নাগরিকদের শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে দেওয়া। আমি কৃষকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের সদর্থক আলোচনার আবেদন জানাচ্ছি।’ এছাড়াও আরও একাধিক মার্কিন সংসদ বিবৃতি দিয়েছেন ভারতীয় কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে। স্বাভাবিকভাবেই দিল্লির কৃষক আন্দোলন গোটা বিশ্বে যেভাবে সাড়া ফেলে দিয়েছে তাতে চাপ ক্রমশ বাড়ছে সরকারের।

আরও পড়ুন:বনধের সময় বদল! সুর চড়িয়েও দরদী কৃষকরা

এদিকে আগামী ৯ ডিসেম্বর বুধবার ফের একবার সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে কৃষকরা। তার আগে মঙ্গলবার ভারত বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে কৃষকদের। মঙ্গলবার ১১ টা থেকে ৩টে পর্যন্ত জারি থাকবে এই ভারত বনধ। ফলস্বরূপ একাধিক রাজ্য স্তব্ধ হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। মূলত দিল্লি ও হরিয়ানাতে পুলিশের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে বনধের সময় বেশ কয়েকটি রাস্তা এড়িয়ে চলতে। যদিও আন্দোলনকারীদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই আন্দোলন সম্পূর্ণরূপে শান্তিপূর্ণ থাকবে। অ্যাম্বুলেন্স ও অন্যান্য জরুরী পরিষেবা যাতে সচল রাখা যায় সেদিকেও নজর রাখা হবে।

Previous articleসংসদে আলোচনা নেই, এখন দফায় দফায় বৈঠক, হাস্যকর, সুখেন্দুশেখর রায়ের কলম
Next articleউলেনের ময়নাতদন্ত নিয়ে পুলিশ-বিজেপি চাপানউতোর