সংসদে আলোচনা নেই, এখন দফায় দফায় বৈঠক, হাস্যকর, সুখেন্দুশেখর রায়ের কলম

সুখেন্দুশেখর রায়

[জাতীয় মুখপাত্র ও মুখ্য সচেতক, তৃনমূল সংসদীয় দল, রাজ্যসভা]

শুরু হয়েছে কৃষক সংগঠনগুলির ডাকে ঐতিহাসিক ভারত বন্ধ । সমর্থন জানিয়েছে একাধিক বিরোধী দল, কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন, ব্যবসায়িক ও পরিবহণ সংগঠন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস প্রত্যক্ষ সমর্থন জানানোয় এই আন্দোলন নতুন মাত্রা পেয়েছে। সংসদে কোনও আলোচনা না করে গায়ের জোরে কৃষি বিল ও অত্যাবশ্যকীয় আইন সংশোধনী পাশ করানো হয়। আর এখন চলছে দফার পর দফা আলোচনা। হাস্যকর।

এই সমস্ত কালা কানুন প্রত্যাহার করতেই হবে।
অন্নদাতাদের ভাগ্য তাদের নিজেদেরই নিশ্চিত করার অধিকার দিতে হবে। জমিচাষকে আইনের মাধ্যমে করপোরোটাইজ করা যাবে না। কেন্দ্রের ‘বিক্রেতা’ সরকার ২৮টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রি করে দিচ্ছে। আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের তৈরি স্বদেশী কারখানা ‘বেঙ্গল কেমিক্যাল’-ও রেহাই পায়নি। ৪০০ রেল ষ্টেশন ও রেলের সম্পত্তি প্রথম পর্যায়ে বিক্রি করবে। কয়লা ও অন্যান্য খনি ক্রোনি ক্যাপিটালিস্ট -দের হাতে তুলে দিয়েছে বিক্রেতা মোদি সরকার। আসলে সারা পৃথিবী জুড়েই শুরু হয়েছে প্রাকৃতিক ও সরকারি সম্পদের অবাধ দখল। মোদি সরকার সেই আর্থিক সম্প্রসারণবাদকেই মদত দিচ্ছে । ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের ৭৩ % শতাংশ সম্পদ ১% শতাংশ বিত্তবানের হাতে। তার মানে, ১%-কে সাথ ১% বিকাশ। এবার কৃষক-শ্রমিকদল এগিয়ে এসেছেন বিক্রেতা সরকারের কেনাবেচা বন্ধ করতে।

সবাই মিলে এই লডাইয়ে শামিল হতে হবে। জয় হবেই।

আরও পড়ুন-একই দিনে জোড়া বনধের প্রভাব উত্তরবঙ্গের জনজীবনে

Previous articleভারত বনধ ব্যর্থ করতে পথে বিজেপির কৃষাণ মোর্চা
Next articleকৃষি আন্দোলনকে সমর্থন একাধিক মার্কিন সাংসদের, ক্ষুব্ধ নয়াদিল্লি