মোদি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা বিরোধীদের

কেন্দ্রীয় সরকারের আনা তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন দেশের কৃষকরা। এহেন অবস্থায় বুধবার বিকেলে ২৪ টি বিরোধী দলের প্রতিনিধিত্ব করে রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন পাঁচ সদস্যের বিরোধী প্রতিনিধিদল। যে দলে ছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, সিপিআইএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের মত নেতৃত্বরা। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে এই বিতর্কিত আইন বাতিলের প্রস্তাব রাখার পাশাপাশি। রাষ্ট্রপতি সাক্ষাতের পর বুধবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠলেন বিরোধীরা।

এদিন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়ার সাক্ষাৎকারে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘কৃষকরা দেশের শক্তি। ওরা সর্বদা দেশের জন্য কাজ করে। সরকারের তরফে যে বিল পাস করা হয়েছিল তা ‘কৃষক বিরোধী’ বিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছিলেন এই বিল কৃষকের স্বার্থে। তবে প্রশ্ন ওঠে কৃষকরা রাস্তায় কেন? কেন তারা এত ক্ষুব্ধ? কারণ এটাই এই বিলের লক্ষ্য ছিল প্রধানমন্ত্রীর বন্ধুদের সুবিধা দেওয়া। দেশের কৃষি ব্যবস্থা নষ্ট করা। কৃষকরা তা বুঝে গিয়েছেন। কৃষকদের শক্তির সামনে কেউ দাঁড়াতে পারবে না যতক্ষণ না এই আইন বাতিল হচ্ছে।’

আরও পড়ুন:বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের অসুস্থতা নিয়ে উদ্বেগ: টুইট রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর

এর পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সিপিআইএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি জানান, ‘আমরা রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে প্রস্তাব পেশ করেছি, যেখানে দাবি করা হয়েছে কৃষি আইন সম্পূর্ণরূপে অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পাস করানো হয়েছে। এগুলি পাস করানোর সময় সঠিকভাবে আলোচনা করা হয়নি। ফলস্বরূপ অবিলম্বে এই আইন প্রত্যাহার করা হোক। একই বক্তব্য শোনা গিয়েছে এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ারের সুরেও, তাঁর কথায় এই বিলগুলি নিয়ে বিশদ আলোচনার দরকার ছিল। উচিত ছিল কৃষি বিল সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানো। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত কোনওরকম পরামর্শ সরকার গ্রহণ করেনি। এবং অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে এগুলি পাস করানো হয়েছে।

Previous articleবুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের অসুস্থতা নিয়ে উদ্বেগ: টুইট রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর
Next articleপ্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করে হাসপাতালে গেলেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী