এবার কি ছাড়পত্র পাবে অক্সফোর্ডের টিকা? আশার আলো দেখছেন গবেষকরা

ল্যানসেট পত্রিকায় কোভিশিল্ডের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে।

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাস প্রতিষেধকটি ভাল কাজ করছে জানালেন এক দল গবেষক। গতকালই ল্যানসেট পত্রিকায় কোভিশিল্ডের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বিজ্ঞানীদের দাবি, অক্সফোর্ডের তৈরি এই প্রতিষেধকটি প্রায় ৭০ শতাংশ কার্যকর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই মুহূর্তে ৫০ শতাংশ কার্যকর যে কোনও টিকাকেই ছাড়পত্রের অনুমতি দিয়ে রেখেছে। তবে অক্সফোর্ডের টিকা এখনও ব্যবহারের ছাড়পত্র মেলেনি। ল্যানসেটে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনা সংক্রমণ রোধে এই টিকা কার্যকর। সঙ্গে অসুস্থতা ও মৃত্যুর হাত থেকেও মানুষকে রক্ষা করছে।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার সিইও পাস্কাল সোরিয়ট বলেছেন, “আমাদের তৈরি টিকা যাতে দ্রুত ছাড়পত্র পায়, তার জন্য বিভিন্ন দেশের কাছে রিপোর্টগুলো পাঠাচ্ছি। কারণ এই টিকা যাঁদের দেওয়া হয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে কোনও বাড়াবাড়ি রকমের অসুস্থতা বা হাসপাতালে ভর্তি করার মতো অবস্থা হয়নি।”

অক্সফোর্ডের তৈরি এই টিকা প্রস্তুতকারীরা দাবি করেছিলেন, এই টিকা অন্যান্য প্রতিষেধকের মূল্যের তুলনায় অনেক সস্তা। কিন্তু সপ্তাহ দু’য়েক আগে একটি রিপোর্টে এই টিকার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। মানবদেহে পরীক্ষার একটি পর্যায়ে মোট তিন ভাগে এই টিকার কার্যকারিতা সামনে এসেছিল। সামগ্রিক ভাবে ৭০ শতাংশ। যাঁদের দু’টি করে ডোজ দেওয়া হয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে ৬২ শতাংশ। এবং পরিকল্পিত মাত্রার অর্ধেক ডোজ যাঁরা পেয়েছিলেন, তাঁদের ক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ। দেখা যায়, ‘ভুল করে’ যাঁদের কম ডোজ দেওয়া হয়েছে, সেটিই সবচেয়ে বেশি কার্যকর। মোট ১৩৬৭ জনকে একটা পুরো ডোজ দেওয়ার পরে অর্ধেক ডোজ দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের ক্ষেত্রে টিকা ৯০ শতাংশের উপরে কাজ করেছে, এমনই বলা হয়েছে ল্যানসেটের রিপোর্টে।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার এগজিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মেনে পাঙ্গালোস দাবি করেছেন, শুধু অল্পবয়সিদের জন্যই নয়, এই টিকা সব বয়সি মানুষের জন্যই সমান কার্যকর। ছাড়পত্র পেলে এই প্রতিষেধক অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরাও।

কিন্তু বয়স্কদের ক্ষেত্রে এই টিকা কি আদৌ সুরক্ষিত? প্রশ্ন থাকছেই। কারণ এই টিক যে ২০ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে এই দেওয়া হয়েছে, তাঁদের বেশির ভাগেরই বয়স ৫৫-র নীচে। কিন্তু কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন বয়স্করাই। তবে কি এই টিকা আদৌ ছাড়পত্র পাবে? সেটাই প্রশ্ন। তবে ল্যানসেটের সাম্প্রতিক রিপোর্টে এই আশঙ্কা অনেকটা হলেও দূর হয়েছে। উপসর্গহীনদের থেকেও এই টিকা সুরক্ষা দিচ্ছে বলে গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে।

আরও পড়ুন-ফের সার্জিকাল স্ট্রাইকের আশঙ্কায় পাক সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ!

Previous articleনাড্ডার সফরে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা, অমিত শাহকে চিঠি লিখে নালিশ দিলীপের
Next articleউয়েফা চ‍্যাম্পিয়ন্স লিগ ম‍্যাচে দুরন্ত জয় পিএসজির