“কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি তাঁর সরকারকে দুর্বল করতে চাইছে,ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে, সরকার ফেলতে চাইছে৷”
গুরুতর এই অভিযোগের পাশাপাশি কেরল-এর মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের বিস্ফোরক অভিযোগ, “নানা মামলায় জড়িত নেতারা বিজেপি-তে যোগ দিলেই তাঁদের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ দ্রুত অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে তিনি বাংলার প্রাক্তন তৃণমূল নেতা মুকুল রায়, প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা নারায়ণ রানে এবং অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডির নাম উল্লেখ করেছেন।
নজিরবিহীন এই অভিযোগ এনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখছেন কেরল-এর মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।
কান্নুরে এক জনসভায় এই অভিযোগ এনেছেন সোনা-পাচারকাণ্ডে কোণঠাসা বিজয়ন। তিনি বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী পদটি সাংবিধানিক। তিনি কোনও দল নন, গোটা দেশের প্রধানমন্ত্রী। আশা করি তিনি সদর্থক উত্তরই দেবেন।” বিজয়নের দাবি, “রাজ্য সরকারকে দুর্বল করার উদ্দেশেই কাজ করছে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি। আমরা ওদের তা করতে দেব না। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন নীতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে ওদের নাক গলাতে দেব না।” NDA সরকারের আমলে বিরোধী নেতাদের কী ভাবে হেনস্থা করে চলেছে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি, সেই তালিকাও দিয়েছেন বিজয়ন। বিজয়ন তালিকা পেশ করে বলেছেন, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদাম্বরম, কর্নাটকের কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবকুমার, প্রয়াত আহমেদ প্যাটেল ও মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথকে এইভাবেই হেনস্থা করেছে।
সোনা পাচার কাণ্ড নিয়ে বিজয়নের দাবি, “আমার উদ্যোগেই সোনা পাচার কাণ্ডের অনুসন্ধানে নামে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এবং আমরা সবাই তা স্বাগত জানিয়েছিলাম। কিন্তু এখন পাচার নিয়ে তদন্ত হচ্ছে না, সরকার ফেলার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।”
কেরল-এর কোভিড পরিস্থিতি সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, এই মুহুর্তে সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণে৷ কোভিড-মৃত্যুর সংখ্যাও তুলনায় অনেক কমেছে। একই সঙ্গে রাজ্যে বিনামূল্যে কোভিড প্রতিষেধক বিতরণের আশ্বাস দেন বিজয়ন।
আরও পড়ুন- ‘যখন অর্ধেক ভারত অনাহারে তখন কার সুরক্ষায় নতুন সংসদ?’ মোদিকে প্রশ্ন কমলের