অধীরের সঙ্গে ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ নীলরতনের, অন্য সমীকরণের ইঙ্গিত বহরমপুরে

হঠাৎ করে কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী(Adhir ranjan Choudury) ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ করলেন বহরমপুর (Baharampur) পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান নীলরতন আঢ্য (Nilratan Adhya)। সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী বলেন, “হঠাৎ দেখি নীলরতন জেলা কার্যালয়ে এসে হাজির। কেউ যদি আমার সঙ্গে দেখা করতে আসে তাঁকে কি চলে যেতে বলব?” তাঁদের সাক্ষাতের সময় উপস্থিত ছিলেন একাধিক জেলা কংগ্রেস নেতাও।

নীলরতনের সঙ্গে দলবদল নিয়ে কথা হল? রাজনীতি সংক্রান্ত কোনও কথা হয়নি বলে জানিয়েছেন অধীর। নীলরতনও বলেন “মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে অধীর চৌধুরীর কার্যালয়ের সামনে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দেখলাম সাংসদের গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। দীর্ঘ দিন ঘর করেছি অধীরের সঙ্গে। তাই কেমন আছে খোঁজ নিলাম”।
তবে, এই ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ নিয়ে শহর জুড়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। আর জল্পনা উসকে দিয়ে কংগ্রেস নেতাদের আশা, “নিলুদার ঘরে ফেরা শুধু সময়ের অপেক্ষা।”

আরও পড়ুন:মুকুলের প্রতি বঞ্চনার প্রতিবাদে সরব কুণাল!!

দীর্ঘ দিন অন্তরালে থাকার পরে চলতি বছরে পুর প্রশাসকের পদ পাওয়ার আশায় দলের অন্যতম কো-অর্ডিনেটর সৌমিক হোসেনের (Soumik Hossein) ছায়া সঙ্গী হন নীলরতন আঢ্য। সেই সময় শহরের ২৮টি ওয়ার্ডের আনাচে কানাচে বিভিন্ন জনসংযোগের কাজ করেন তিনি। অথচ চার মাস কেটে গেলেও পুরসভার ‘পদ’ নিয়ে কোন টুঁ শব্দ শোনায়নি তৃণমূল(Tmc) ভবনও। মূলত যাদের সৌজন্যে তাঁর দলে ফেরা সেই দুই নেতা অরিত, সৌমিকও নীরব। শহর জুড়ে মুখরিত তৃণমূলের নয়া কর্মসূচি ‘বঙ্গধ্বনি’। সেখানেও দলের বৈঠকে ডাক পড়েনি প্রাক্তন এই কংগ্রেস (Congress) কাউন্সিলরের। যদিও তিনি মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের লিঙ্ক পেয়েছিলেন বলেই দাবি নীলরতনের। তবে, দলের সভাপতি কোনও বৈঠকে তাঁকে ডাকেন না বলে মন্তব্য করেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে পুরনো দলের নেতার সঙ্গে যোগাযোগ যোগাযোগের বিষয়টিকে নিতান্ত সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে মানতে নারাজ রাজনৈতিক মহল।

Previous articleআগামী ৪ থেকে ৬ মাস ভয়ঙ্কর রূপ নেবে করোনা: বিল গেটস
Next articleপ্রতিষ্ঠান খুলতেই মাত্রাছাড়া করোনা সংক্রমণ, বন্ধ হয়ে গেল আইআইটি