অসভ্যতার চূড়ান্ত৷

রাজনীতির জগতে ন্যূনতম সৌজন্য, শিষ্টাচার, ভদ্রতা জরুরি হলেও, সেসব বিসর্জন দিতে দু’বার ভাবছে না বিজেপি৷

বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা কৈলাস (Kailash Vijayvargiya) বিজয়বর্গীয়র শহরের রাস্তায় ঠাণ্ডা মাথায় সাঁটানো হয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ছবি সম্বলিত শ’য়ে শ’য়ে পোস্টার। আর সেই পোস্টারের উপর দিয়েই হাঁটছেন মানুষ, চলছে গাড়ি৷

লজ্জার এই ছবি মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের (Indore) পাটানিপুরা স্কোয়ারের৷ এই ছবি ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়৷
গত বৃহস্পতিবার বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা (J P Nadda) পশ্চিমবঙ্গ সফরে এসে ডায়মন্ডহারবার যাওয়ার পথে শিয়াকোলে হামলার মুখে পড়েন৷ বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক তথা এ রাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় সেদিন জখম হন৷ বিজেপির অভিযোগের তির তৃণমূলের (TMC) দিকে।

আর সেই ঘটনার পাল্টা হিসাবেই ইন্দোরে বিজয়বর্গীয় অনুগামীরা এই ঘৃণ্য কাজটি করেছেন বলে রাজনৈতিক মহলের অভিযোগ ৷

পাটানিপুরার এক বাসিন্দা, রাজেশ বিদকার বুক ফুলিয়ে এই কাজের দায় নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বিজেপির সক্রিয় কর্মী হলেও দলের কর্মী হিসাবে নয়, বিজয়বর্গীয়-অনুগামী হিসাবেই এই কাজ করেছেন তিনি।
বিদকার সগর্বে বলেছেন, “বাংলা মমতার সরকারের দিন শেষ৷ আমাদের কৈলাসজি বাংলায় তাঁর প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন। কনভয়ে হামলা সেই আশঙ্কাই প্রমান করেছে৷”

মমতার ছবি দেওয়া এই সব পোস্টার লাগানোর ঘন্টাখানেক পর তুলে নেন রাজেশ ও তাঁর লোকজনই। কৈলাস বিজয়বর্গীয়র এই অনুগামীর যুক্তি, “এ সব পোস্টার বেশিক্ষণ রেখে ইন্দোরের রাস্তার সৌন্দর্যহানি করতে চাইনি। তাই তুলে নিয়েছি আমরাই”৷

বিজেপিকর্মী বিদকার এই ঘটনায় দায় নিজের ঘাড়ে নিলেও, তা স্বীকার করেনি বিজেপি। ইন্দোর শহরের বিজেপি সভাপতি গৌরভ রণদিভে বলেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোস্টার নিয়ে যে এই কাণ্ড হয়েছে, তা আমার জানা নেই। এর সঙ্গে দলের কোনও কর্মীও জড়িত নন।”

আরও পড়ুন-“বিজেপিকে আক্রমণ করলে গাড়ি অ্যাক্সিডেন্ট করিয়ে মারবো”, ফের বেফাঁস সায়ন্তন
