তৃণমূলের রিপোর্ট কার্ডের পাল্টা বিজেপির ‘ফেল কার্ড’ প্রকাশ

গত বৃহস্পতিবারই নিজেদের কাজের রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। ওই কার্ডে সরকারি দল হিসাবে তৃণমূল নিজেদের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেছে। এবার তার পাল্টা ফেল কার্ড (Fail Card) প্রকাশ করল বিজেপি (BJP)। “তৃণমূল যে গত ১০ বছরের কাজের খতিয়ান মানুষের সামনে পেশ করেছে, তা সত্যের থেকে বহুদূরে।” এমনই দাবি বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharyya)। তিনি বলেন, তৃণমূলের ১০ বছরের ব্যর্থতা একটা বুকলেটের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চাই। এদিন বিজেপি রাজ্যসভার সংসদ স্বপন দাশগুপ্ত (Swapan Dashgupta) দাবি করেন, তৃণমূল ডাহা ফেল করেছে। একটা দুর্নীতিগ্রস্ত অযোগ্য সরকার চলছে গত ১০ বছর ধরে।

সোমবার শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “বিভিন্ন সময়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কিছু রুটিন ইনভেস্টমেন্ট আর কিছু মউকে সামনে এনে দেখাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু যা দেখানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী বা শিল্পমন্ত্রীর তরফ থেকে আসলে তার ১ শতাংশ হয়েছে। গত ৫০ বছর ধরে বামফ্রন্টের আমলে এবং তারপর তৃণমূলের ১০ বছর যদি ধরা হয়, তাহলে সবটা পরিষ্কার বোঝা যাবে। তৃণমূল যে গত ১০ বছরের কাজের খতিয়ান মানুষের সামনে পেশ করেছে, তা সত্যের থেকে বহুদূরে।” তাঁর দাবি, “আমাদের রাজ্যের জিডিপি ৩২-এর মধ্যে ৩১। আজকে এই সরকার যখন ক্ষমতা থেকে চলে যাবে, তখন প্রতি শিশুর মাথায় যে ঋণের বোঝা দাঁড়াবে সেটা হল ৬৫০০০ টাকা। ব্যক্তি পিছু আয় ৩২-র মধ্যে ২২। এমএসপি কন্ট্রোল করছে মধ্যস্বত্বভোগীরা। সরকার কিছু করছে না। পরবর্তী সরকারের মাথার উপর ৫০০০০০ কোটি টাকার ঋণ।”

রাজ্যের অর্থ অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র প্রতিবছর বাজেট পেশ করার পরই সরকারের এক মন্ত্রী ঘরোয়া আলোচনায় বলতেন, ফের জল মেশালো! কারণ ওর মধ্যে কেন্দ্রের বরাদ্দ মিশে আছে। এদিন তৃণমূলের ফেল কার্ড প্রকাশ করতে গিয়ে সে কথাই বলেছেন বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্ত, শমীক ভট্টাচার্য, শিশির বাজারিয়ারা। তারা বলেন, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ২.৩৪ লক্ষ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার (Mamata Bandyopadhyay)। কিন্তু তার মধ্যে কেন্দ্রের নিজস্ব রাজস্ব আদায়ে মাত্র ৭৫ হাজার কোটি টাকা।

কৃষিতেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিথ্যা দাবির অভিযোগ করেছে বিজেপি। বিজেপির কিছু নেতাদের কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায়ই দাবি করেন, কৃষিতে বাংলা এক নম্বরে। বিজেপি পরিসংখ্যান দিয়ে বোঝাতে চেয়েছে তা সঠিক নয়, আসলে ১০ নম্বরে রয়েছে বাংলা। কৃষিক্ষেত্রে গড় বৃদ্ধির বছরে মাত্র ৩ শতাংশ।

আরও পড়ুন-পরশু দিল্লি যাচ্ছেন শুভেন্দু, যোগ দেবেন বিজেপিতেই

Previous articleকরোনার জেরে বসছে না সংসদের শীতকালীন অধিবেশন
Next articleশুভেন্দুর জন্য কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা,১০ কম্যান্ডো- বুলেটপ্রুফ গাড়ি