কংগ্রসের সঙ্গে আসন বন্টনের বৈঠকে সব শরিককে রাখার দাবি জোরাল বামফ্রন্টে

আর বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই নয়, এবার স্পষ্ট এবং সুষ্ঠু আসন বন্টন চায় বাম শরিকরা (left Front)। গতবারের ভুল আর এবার নয়। আগেই আওয়াজ তুলেছিল ফরোয়ার্ড ব্লক (Foroword Block), এবার তাদের সুরে সুর মেলাল আরএসপি (RSP)। একই মনোভাব সিপিআইয়েরও (CPI)। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হোক। কিন্তু আসন ভাগাভাগি ভোটের আগে স্পষ্ট করে নিতে চাইছে বাম শরিকরা। বড় শরিক সিপিএমকে (CPIM)- এর কাছে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে তারা।

আরএসপি কেন আসন রফা স্পষ্ট করতে চাইছে? কারণ মূলত মুর্শিদাবাদ। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর (Adhir Choudhury) গড়। এই জেলায় আরএসপির প্রভাব একসময় যথেষ্ট ছিল। এখনও ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু। তা সত্ত্বেও প্রভাব অস্বীকার করা যাবে না। গত ভোটে (২০১৬) বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই হয়েছিল। মুখোমুখি হতে হয়েছে বেশ কিছু আসনে। এবার ফের তাই হোক, চাইছে না আরএসপি নেতৃত্ব। আবার আলিপুরদুয়ারের মতো জায়গায় আরএসপির প্রভাব আছে। কিন্তু বিগত বিধানসভা ভোটে বড় শরিক সিপিএমের সমর্থন চলে গিয়েছিল কংগ্রেসের দিকে। এই ভ্রান্তি যে এবার আর করতে চায় না দল, তা ভোটের চার মাস আগেই বুঝিয়ে দিয়েছেন আরএসপির রাজ্য সম্পাদক বিশ্বনাথ চৌধুরী (Biswanath Choudhury)। তাঁর স্পষ্ট কথা, কংগ্রেসের সঙ্গে আসন বন্টনের বৈঠকে আর শুধু সিপিএম নয়, সব শরিক দলকে রাখতে হবে। আসন বন্টন আগেই শেষ করে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাতে চাইছে দল। একই মনোভাব সিপিআইয়েরও। মেদিনীপুর সহ বেশ কিছু জেলার আসনের তারা দাবিদার। ফলে বামফ্রন্টের হয়ে বিমান বসু (Biman Basu) আর সূর্যকান্ত মিশ্র ( suryakanta Mishra) আসন রফা করবেন, এবার আর তা হবে না। বাম মহলে এখন সেই বৈঠকের সলতেতেই পাক লাগানো শুরু হয়েছে।

 

Previous articleমতুয়া মহাসঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তীতে ছুটি ঘোষণা রাজ্যের
Next articleঅবসর ভেঙে ক্রিকেটে ফিরছেন যুবরাজ