জিতেন্দ্রকে ফোন করে মুখ্যমন্ত্রী সময় দেওয়ার পরেই শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠকে জিতেন্দ্র

একদিকে মুখ্যমন্ত্রী ( CM WB) যখন বৈঠক করার জন্য জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে (jitendra Tewari) সময় দিলেন, ঠিক তখনই শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠক করতে জিতেন্দ্র চলে গেলেন কাঁকসায়।বৈঠকে ছিলেন তৃণমূল সাংসদ সুনীল মন্ডল, কালনার তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুন্ডু এবং দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার চেয়ারম্যান দীপ্তাংশু চৌধুরি। এরা সকলেই মিলিত হন সুনীল মন্ডলের কাঁকসার বাড়িতে। প্রশ্ন হচ্ছে শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠক করার পরেও তৃণমূলনেত্রী জিতেন্দ্রর সঙ্গে কী বৈঠক করবেন? তো সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।

তার আগেই জানা গিয়েছে যে আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারির সঙ্গে শুক্রবার,১৮ ডিসেম্বর বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গ সফর শেষে জলপাইগুড়িতে এসে মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি ফোন করেন পান্ডবেশ্বরের বিধায়ককে। তাঁকে জানান ১৮ ডিসেম্বর কলকাতায় এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে তখনই কথা হবে। এর মাঝে যদি কোনও প্রয়োজন পড়ে তাহলে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের (Arup Biswas, MIC) সাথে জিতেন্দ্র তেওয়ারি যেন কথা বলে নেন।

ভোটের দামামা বেজে উঠতেই তৃণমূলের বেশ কিছু পদাধিকারী বেসুরে কথা বলছেন। সুযোগ বুঝে আসানসোল পূরসভার বর্তমান প্রশাসকও তাদের দলে নাম লেখান। প্রকাশ্যে তিনি সরকারকে দোষারোপ করে বলেন আসানসোল উন্নয়ন ও কেন্দ্রের বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত হয়েছে আসানসোল রাজ্য সরকারের রাজনীতির কারণে। তারপরেই নড়েচড়ে বসে তৃণমূল নেতৃত্ব। অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের সাথে বৈঠকের জন্য ডাকা হয়। কিন্তু জিতেন্দ্র জানান তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই বৈঠক করতে চান। আর তারপরেই মুখ্যমন্ত্রীর ফোন। তৃণমূল নেতৃত্বের বিশ্বাস সমস্যা বসলেই মিটে যাবে। আসানসোল সূত্রে খবর এলাকার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র সঙ্গে জিতেন্দ্রর সম্পর্ক মাখোমাখো।

 

Previous articleবিধায়ক পদে ইস্তফা শুভেন্দুর: কী মত রাজনৈতিক মহলের
Next article“জেলা সভাপতি হিসেবে এটাই আমার শেষ বক্তব্য”, জিতেন্দ্র তিওয়ারির ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা