বিধায়ক পদে ইস্তফা শুভেন্দুর: কী মত রাজনৈতিক মহলের

সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে তৃণমূল বিধায়ক পদে ইস্তফা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Subhendu Adhikari)। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ( Biman Bandyopadhyay) বিধানসভায় না থাকায় সচিবের কাছে ইস্তফা দেন তিনি। অধ্যক্ষকে ইমেলে ইস্তফাপত্র পাঠান। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর ইস্তফা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি আলোচনা চলছিল। ইস্তফার পরেই তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস থেকে শুরু করে বিজেপি, সিপিআইএম সব দলির নেতারা মন্তব্য করেন।

এই পদত্যাগ প্রসঙ্গে তৃণমূল (TMC) সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়( Kalyan Benarjee) বলেন, “গিয়েছে, ভালোই হয়েছে। দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো”।

তবে শুভেন্দুকে ধরে রাখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি উদ্যোগ নিয়েছিলেন যিনি, সেই সাংসদ সৌগত রায়(Sougata Roy) অবশ্য কিছুটা সংযত মন্তব্য করেছেন। তবে তাঁর মতে, এটা দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা। এই সবকিছুই পদের জন্য। কেউ যদি দলে থেকে মন্ত্রিত্ব পরেও উপমুখ্যমন্ত্রী, এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর পদ চেয়ে বসেন, তাহলে সব উচ্চাশা পূরণ করা সম্ভব নয়। নীতি বা আদর্শ নয়, পদের লোভেই এই সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেন সৌগত।

রাজনৈতিক মহলের মতে, শুভেন্দুর বিজেপিতে যোগ দেওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। শনিবার, মেদিনীপুরে অমিত শাহের জনসভায় উপস্থিত থাকবেন শুভেন্দু অধিকারী।

এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু সম্পর্কে বিজেপি নেতারা কি বলছেন সে দিকেই নজর সবার। “দলে এলে স্বাগত জানাব। আমরা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি”। শুভেন্দুর ইস্তফা নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় বলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বিজেপি (BJP) নেতা মুকুল রায় (Mukul Roy) বলেন, “গণ আন্দোলনের থেকে উঠে আসা একজন মানুষ শুভেন্দু তার পক্ষে সরকারের অপশাসন মেনে নেওয়া সম্ভব নয়”।

আরও পড়ুন:Breaking: ইস্তফার পদ্ধতি ভুল, বিধায়ক থাকছেন শুভেন্দু

বাম বিধায়ক (MLA) তথা সিপিআইএম (CPIM) নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujun Chakrabarty) অবশ্য বলেন, একজন পরিণত বয়স্ক মানুষ, যে দলে ইচ্ছে থাকবেন বা থাকবেন না সেটা একান্তই ব্যক্তিগত মত।

Previous articleক্ষুব্ধ কৃষকরা, সানি দেওলের নিরাপত্তায় ১১ কমান্ডো-পুলিশকর্মী
Next articleজিতেন্দ্রকে ফোন করে মুখ্যমন্ত্রী সময় দেওয়ার পরেই শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠকে জিতেন্দ্র