Saturday, November 8, 2025

মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগেই আসানসোল পুর প্রশাসকের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন জিতেন্দ্র

Date:

প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর (Subhendu Adhikary) পথেই হাঁটলেন আসানসোলের পুর প্রশাসকব জিতেন্দ্র তিওয়ারি ((Jitendra Tiwary)। আজ, বৃহস্পতিবার আসানসোলের পুর প্রশাসক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন জিতেন্দ্র। আসানসোল পুরকর্মীদের নিয়ে একটি সভায় প্রকাশ্যে এমনটাই ঘোষণা করেন তিনি। একইসঙ্গে জিতেন্দ্র পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) ও দফতরের সচিবকে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন বলেই জানা যাচ্ছে। জানা যাচ্ছে, তৃণমূলের সমস্ত পদ থেকেও পদত্যাগ করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন জিতেন্দ্র।

সম্প্রতি, আসানসোলের স্মার্ট সিটি প্রকল্পের অনুদান থেকে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ তুলে দলের এক হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীর প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। কিন্তু হঠাৎ করে যে এভাবে ইস্তফা দিয়ে দেবেন, সেটা বোঝা যায়নি। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী নিজে তাঁর অভিমান ভাঙানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের সময়ও দিয়েছিলেন। সেইদিন পর্যন্ত অপেক্ষা না করেই এমন পদক্ষেপে বিস্মিত অনেকেই।

এদিন সকালেও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে জিতেন্দ্র বলেছিলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে যাব। ওঁকে দেখে দল করা। আমি যে সমস্যা অনুভব করেছি, সেটা জানাব। তারপর যদি সমাধান হয়, ভাল। অন্তত এটুকু বলতে পারব, আমি মনের কথা খুলে বলতে পেরেছি। আমি ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে যাব।”

তিনি আরও বলেছিলেন, “বিধানসভা ভোটে খুব সহজে আবার তৃণমূল জিততে পারত। কেউ কেউ অযথা জটিল করে দিলেন। এঁরাই দল শেষ করে দেবেন।”

তবে জিতেন্দ্রর কথায় কোথায় যেন একটা অন্য ইঙ্গিত ছিল। সুনীল মণ্ডলের বাড়িতে বৈঠকের প্রসঙ্গে জিতেন্দ্র বলেন, “বুধবার রাতে দেড় ঘণ্টা বৈঠক হয়। শুভেন্দুর সঙ্গে বসলেই কথা লম্বা হয়ে যায়। দল রাখলে থাকব। না থাকলে আমি তো ঘরে বসে থাকব না, অসুস্থ হয়ে পড়ব। মানুষের কাজ করতে গিয়ে যা করণীয় তাই করব।”

ঘটনার সূত্রপাত কিছুদিন আগে। কেন্দ্রের টাকা না নেওয়া নিয়ে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে চিঠি দেওয়া ঘিরে জিতেন্দ্রর ইস্তফার জল্পনা শুরু হয়। তার পর তাঁর ক্ষোভ মেটাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ থেকে ফোনে কথাও বলেন। কিন্তু দলনেত্রীর ফোনেও যে কাজ হয়নি, এ দিন জিতেন্দ্রর ঘোষণাতেই তা স্পষ্ট।

ফিরহাদকে লেখা ওই চিঠিতে কেন্দ্রের স্মার্ট সিটি প্রকল্পে ২০০০ কোটি টাকা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন জিতেন্দ্র। এ ছাড়া কঠিন বর্জ নিষ্কাষণ প্রকল্পেও ১৫০০ কোটি না নেওয়ায় রাজ্য নেতৃত্বের উপর ক্ষোভ উগড়ে দেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র। রাজনৈতিক কারণেই ওই টাকা নেওয়া হয়নি এবং তার জন্য আসানসোলের উন্নয়নের ক্ষতি হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন চিঠিতে।

আরও পড়ুন:১৫ দিনের মাথায় ফের যুগলের ঝুলন্ত দেহ মিলল মালদায়

এরপর আসানসোলের প্রশাসকের চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর জিতেন্দ্রর বিধায়ক পদ ছাড়া নিয়েও শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।

 

Related articles

জন্মদিনে চরম অসৌজন্য! অভিষেককে নিয়ে বিজেপির পোস্টে সরব নেটদুনিয়া

বাংলায় বরাবর সৌজন্যের রাজনীতি দেখিয়ে এসেছে সব রাজনৈতিক দল। বাম আমলে সিপিআইএম নেতা থেকে তৃণমূল বা কংগ্রেস নেতাদের...

আইএসএল নিয়ে প্রবল অনিশ্চয়তা, অনুশীলনই বন্ধ রাখল মোহনবাগান

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে মোহনবাগানের(Mohun Bagan) সিনিয়র দলের অনুশীলন। খবর অনুযায়ী, আইএসএল নিয়ে প্রবল অনিশ্চয়তা। টেন্ডার সংক্রান্ত বিষয়...

জন্মদিনে মানুষের ভালবাসা মনে করিয়ে দেয় কর্তব্য: ভিড়ে মিশে গেলেন অভিষেক

সকাল হওয়ার অপেক্ষা নয়। রাত ১২টা বাজার অপেক্ষায় ছিল বাংলার বিপুল জনতা। জননেতা, তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক...

ফলপ্রকাশ SSC একাদশ-দ্বাদশের: ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগ বাস্তবায়নের পদক্ষেপ, দাবি ব্রাত্যর

বাংলায় কর্মসংস্থানে সদা সচেষ্ট প্রশাসন ও প্রশাসনের সব দফতর। ফের একবার তার প্রমাণ মিলল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই এসএসসি-র...
Exit mobile version